ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও মেধায় অনন্য শেখ কামাল (ভিডিও)

আকবর হোসেন সুমন

প্রকাশিত : ১৩:৩৫, ৫ আগস্ট ২০২১

শেখ কামাল- রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মেধাবী ছাত্র, দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক, একজন সংস্কৃতিসেবী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অস্ত্র ফেলে তারুণ্যের হাতে তুলে দেন খেলার উপকরণ। প্রতিষ্ঠা করেন আবাহনী ক্রীড়া চক্র। সাংগঠনিক দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও মেধায় অনন্য শেখ কামাল জয় করেছিলেন সবার মন। আজ তার ৭২তম জন্মদিন।

১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিবের বড় ছেলে শেখ কামাল। দুরন্ত, প্রতিভাধর শেখ কামাল সেগুনবাগিচার ডন্স কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। কেজি ও স্ট্যান্ডার্ড ডিঙিয়ে ডাবল প্রমোশন নিয়ে ভর্তি হন শাহীন স্কুলে। ছাত্রাবস্থায় স্কুলের ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হন। সহজাত নেতৃত্বের গুণাবলী ছিল তার। সেখান থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে।

মুক্তিযুদ্ধে দক্ষ সংগঠকের ভূমিকাও পালন করেন শেখ কামাল। তিনি ভারতে প্রশিক্ষণরত সেই ৬১ সৌভাগ্যবানের একজন, যিনি বাংলাদেশ ফার্স্ট ওয়ার কোর্স সম্পন্ন করে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন।

ফার্স্ট ওয়ার কোর্সে শেখ কামালের কোর্সমেট মেজর জেনারেল (অব.) সায়ীদ আহমেদ বলেন, শেখ কামালকে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে দেখে আমাদের মনবল বেড়ে গেল। আমরা নিশ্চিত হলাম শেখ কামাল বেঁচে আছেন। কেননা তার সম্পর্কে অনেক রটনা রটে ছিল। এমন গুজব ছিল যে তার লাশ দেখা গেছে। আর যখন তাকে দেখলাম তখন মনবল অনেক বেড়ে গেল। 

মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্বপ্ন দেখেছিলেন একদিন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গণে বিজয়ের পতাকা উড়াবে বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বন্ধুদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আবাহনী ক্রীড়াচক্র। 

আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেন, দেশ স্বাধীনের পর শেখ কামালকে আধুনিক ফুটবলের জনক বলে মনে করা হতো। তার লক্ষ্য ছিল সারাদেশ ও বিদেশে আবাহনীর শাখা করবেন। তা করে যেতে পারেননি শুধু ফরিদপুর ও খুলনাতে করেছিলেন। তার চিন্তা-চেতনা দিয়ে আমরা সারাদেশেই শাখা করেছি।

সাংস্কৃতিক অঙ্গণে সাড়া ফেলেছিলেন স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীর মধ্য দিয়ে। নাট্যাঙ্গনেও ছিলো সরব-সদর্প পদচারণা। 

হারুনুর রশীদ বলেন, ছাত্রনেতা ছিল, সাংস্কৃতিক নেতা ছিল কিন্তু তাদেরকে কোন স্পোর্টসে আবাহনীর গেট দিয়ে ঢুকতে দিতেন না। বলতেন যে, এখানে শুধু স্পোর্টস হবে। যখন আমি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যাব তখন শুধু সংস্কৃতি হবে, আর যখন আমি ছাত্র নেতৃত্ব করতো তখন শুধু ছাত্র নেতৃত্ব হবে।

১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু খ্যাত দেশবরেণ্য অ্যাথলেট সুলতানা খুকুকে বিয়ে করেন শেখ কামাল। দেশের ক্রীড়াঙ্গণকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন নব দম্পতি। 

মেহেদীর রঙ শুকানোর আগেই ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধুর সাথে নিহত হন তারা। শেখ কামাল বেঁচে আছেন তার কীর্তির মাধ্যমে। ক্রীড়াঙ্গন, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে আজও পথ দেখান সেই তরুণ-যুবা শেখ কামাল। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি