বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের নীরব সারথী বঙ্গমাতা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৩৩, ৮ আগস্ট ২০২১
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন আজ। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে বঙ্গমাতার ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য। লড়াই-সংগ্রামে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অপার ধৈর্য্য আর সাহসিকতায় শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব আগলে রেখেছিলেন পরিবার এবং দলের নেতাকর্মীদের।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের নীরব সারথী; ছিলেন সকল সংকটে পাশে থেকে অফুরান সাহস যোগানোর উৎস।
১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্ম শেখ ফজিলাতুন্নেছার। ডাক নাম ছিলো রেণু। বাবা শেখ জহুরুল হক ও মা হোসনে আরা বেগম। ৫ বছর বয়সেই বাবা-মাকে হারান ছোট্ট রেণু।
অল্প বয়সেই বিয়ে হয় শেখ মুজিবের সাথে। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী ছিলেন না, ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর; বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে সহযোদ্ধার ভূমিকা ছিলো তাঁর।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সন্তানদের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদেরও আগলে রাখতেন পরম মমতায়। নিজ গুণেই তিনি হয়ে উঠেন বঙ্গমাতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমেদ বলেন, উনি সবাইকেই দেখেছেন, সবকিছুই করেছেন এবং এখন তো আমরা জানি যে উনি কতোকিছু করেছেন। কিন্তু আমি কখনই তাঁর মুখে বিরক্তি দেখেনি, উঁচু গলায় রাগারাগিও করতে দেখেনি।
দূরদর্শি বঙ্গমাতা স্বাধীনতাবিরোধীদের নানান ষড়যন্ত্রে নিজের পরিবার আর বাংলার মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে ছিলেন শংকিত।
নাসরিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু গণভবনে থাকতেন কিন্তু ওনার বাসায় উনি থাকতেন আর আমাদের দুই বাড়ির মধ্যখানে একটি গেট থাকতো, এই গেটটা খোলাই থাকতো। একজন সেন্ট্রি দাঁড়িয়ে থাকতো, মামি বললেন এই যে দেখ এদের দেখেছিস। আমি বললাম হ্যাঁ, এরা কেন যে দাঁড়িয়ে থাকে? তখন উনি বললেন যে, আজকে মুখ ওদের অন্যদিকে না। আমি বললাম যে হ্যাঁ, উনি বললেন খুব শীগগিরই ওদের মুখ এদিকে হয়ে যাবে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব- অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, অপার সাহস আর ত্যাগের উদাহরণে ইতিহাসের পাতায় থাকবেন অক্ষয় নাম হয়ে।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন