ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বেতার-বিটিভি হাঁটে উল্টো পথে (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১১:১১, ১১ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ১১:১৫, ১১ আগস্ট ২০২১

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশ বেতারসহ দেশের সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিলো দেশবিরোধী। কেবল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয়, ঘৃন্যতম এ ঘটনার মাধ্যমে খুনীরা স্বাধীন বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তানমুখী করতে চেয়েছিলো। যার প্রতিফলন ঘটে বাংলাদেশ বেতারে, নাম বদলে হয়ে যায় রেডিও বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুছে ফেলে মনগড়া অনুষ্ঠান প্রচার হতো তখন।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট! ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের কালো তারিখ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার খবরটি বিশ্ব গণমাধ্যম বিশেষ করে বিবিসি, গার্ডিয়ান, ভারতের আকাশবাণী গুরুত্বের সাথে প্রচার করে।

অথচ বাংলাদেশ বেতারে খুনী মোশতাকের সরকারকে মেনে নিতে তাগিদ দেয়া হয় বুলেটিন-অনুষ্ঠানে। মেজর ডালিম-সহ অন্য খুনিরা সে সসময় নিজেদের মত করে মনগড়া অনুষ্ঠান প্রচার করতে থাকে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্বাধীন দেশের চেতনাকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিলো খুনিরা। যেসব পত্রিকা বঙ্গবন্ধু সরকারের ইতিবাচক খবর ছাপছিল একদিন আগেও; তারাই বদলে ফেলে অবস্থান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, হত্যাকারীদের একজন বাংলাদেশ বেতার শাহবাগে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সংবাদ সদর্পে প্রচার করছিল। সে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ বেতার ঢাকায় আর সে যখন বেড়িয়ে যাচ্ছে তখন সেটি হয়ে গেল রেডিও বাংলাদেশ ঢাকা। এই যে পাকিস্তানের আদলে রেডিও পাকিস্তান ঢাকা থেকে রেডিও বাংলাদেশ ঢাকায় রূপান্তর করা এটি কিভাবে হলো।

বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অনুষ্ঠান প্রচার করে সে সময় বাংলাদেশ বেতার খন্দকার মোশতাক সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছিলো।

অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ঘোষণা দিয়ে তো বাংলাদেশ বেতারকে রেডিও বাংলাদেশ করা হলো। তারপরে যত ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছিল তাতে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস এগুলোর সব সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হলো। সেখানে হত্যাকারীদের চিন্তা-চেতনা প্রসূত যেসব অনুষ্ঠান প্রয়োজন হয় সেগুলোই তারা প্রচার করা শুরু করলো।

বেতারের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিও হাঁটে উল্টো পথে।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা-বিবৃতি, বঙ্গবন্ধুর যে অনুষ্ঠানগুলো রেকর্ড করা হয়েছিল তা তাদের আর্কাইভসে ছিল। সবগুলো ধ্বংস করা হলো।

রেডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি