ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে নিবিড় সখ্যতা ছিল আইভি রহমানের (ভিডিও)

আকবর হোসেন সুমন

প্রকাশিত : ১১:২৮, ২৪ আগস্ট ২০২১

ভয়াল একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত হন তিনি। স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত আইভি রহমান ঘটনার ৪ দিন পর মারা যান।

পারিবারিক নাম জেবুন্নেছা, রাজনীতির মাঠে আইভি রহমান নামেই জনপ্রিয়। ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের চন্ডিবের গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম। রাজনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে আইভি রহমানের ছিল নিবিড় সখ্যতা। 

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সঙ্গে পরিণয় ১৯৫৮ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আইভি রহমান বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শে গণতন্ত্রের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৬৯ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ভারতে অস্ত্রচালনা ও প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা প্রশিক্ষণ নেন। জয়বাংলা রেডিওতে নিয়মিত পাঠ করতে কথিকা।

১৯৮০ সাল থেকে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। যুক্ত ছিলেন জাতীয় মহিলা সমিতির সঙ্গেও। 

রাজপথের আন্দোলনে তৃণমূলের নেতৃত্ব দিয়ে রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করেছেন স্বমহিমায়। ২০০৪ সালের একুশে আগস্টে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশেও সহযোদ্ধাদের সাহস দিয়েছেন শ্লোগানে, মধ্যমণি হয়ে। 


স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, আইভি রহমান কখনও মঞ্চে বসতেন না। তিনি নীচে বসতেন এবং মহিলা আওয়ামী লীগের সকল নেত্রীকে নিয়ে তিনি স্লোগানের ব্যবস্থা করতেন। তিনি নিজে স্লোগান দিতেন, কর্মীদের উৎসাহিত করতেন এবং কাছাকাছি থাকতেন। এই পনেরই আগস্ট এবং একুশে আগস্ট দুটোই একই সূত্রে গাঁথা।

মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক বলেন, আমরা ওনার চেয়ে বয়সে ছোট কিন্তু কখনই আমরা হেঁটে মিছিলে ওনার আগে যেতে পারতাম না। উনি দ্রুত হাঁটতেন এবং নিজেই স্লোগান দিতেন। যারা একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল অবিলম্বে এদের ফাঁসি আমরা দেখতে চাই। কারণ, এই দেশে আমরা আর কখনই হত্যা-সন্ত্রাসীর রাজনীতি দেখতে চাই না।

এক মুহূর্তে শ্লোগান স্তব্ধ করে দিয়েছিলো রাষ্ট্রীয় মদদে চালানো গ্রেনেড হামলায়। মানবদেয়ালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রাণ রক্ষা হয়েছিলো, ততক্ষণে আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মীর শরীরে গেঁথেছিলো স্প্লিন্টার। 

মাহমুদা বেগম ক্রিক বলেন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর থেকে শুরু করে আব্দুস সালাম পিন্টু, হারেছ চৌধুরী, তারেক জিয়া- সকলেরই কিন্ত মৃত্যুদণ্ড। ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে, এ থেকে প্রমাণিত হয় যে রাষ্ট্রযন্ত্র সেদিন ব্যবহৃত হয়েছিল। কোন রাষ্ট্রযন্ত্রই সেদিন বিরোধী দলকে নিরাপত্তা দেয়নি।

পরের ৪ দিনে জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে হেরে যান আইভি রহমান। ২৪ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি