মার্কিন নীতির ‘চোখের কাঁটা’ বঙ্গবন্ধু
প্রকাশিত : ০৮:৩১, ১ আগস্ট ২০২২
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৭৫ সালের সেই নৃশংস আগস্টে হঠাৎ বন্যায় ভেসে যাচ্ছে চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা, পাবনা, কুষ্টিয়া ও রংপুর। প্রকৃতি কি আগেই টের পেয়েছিল যে এই আগস্ট মাসটা বাঙালিকে সারাজীবন কাঁদাবে? এদিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির সবার মন ভারি। দুইদিন আগে বাড়ির দুই মেয়ে হাসিনা আর রেহানা চলে গেছেন জার্মানি। স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থলে থাকার জন্য জার্মানির পথে উড়াল দিলেন বঙ্গবন্ধুর আদরের হাসু। সঙ্গে নিয়ে গেলেন ছোটবোনকে।
আগস্টের প্রথম দিনটা ছিলো শুক্রবার।
বাকশাল গঠন নিয়ে ভীষন ব্যস্ত সময় পারছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজ ঢাকা বার সমিতির ১৯৩ জন, শিল্প ব্যাংকের ৪১২ জন, বাংলাদেশ বিমান উন্নয়ন সংস্থার ৩,৩৩১ জন, গৃহনির্মাণ সংস্থার ১৫৮ জন বাকশালে যোগদানের আবেদন করেন। পাশাপাশি বাকশালে যোগ দিতে আবেদন করে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথ সমিতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
দুপুর একটা। প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরী আর দুপুর দেড়টায় পাহাড়ি নেতা মংপ্রং সাক্ষাৎ করেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। অফিসে।
ওদিকে বসে নেই যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ আগস্ট হত্যাচক্রান্তে ‘ফু’ দিচ্ছে অনেক আগে থেকেই।
চক্রান্তের বেলুনটা বেশ ফুলে উঠেছে। এখন প্রশ্ন হলো কী স্বার্থ ছিল আমেরিকার? ‘হেনরি কিসিঞ্জার ও মার্কিন ফরেন পলিসি’ নামের বইয়ে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। লিখেছেন রজার্স মরিস। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে ষ্টাফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেছেন রজার্স।
তিনি লিখছেন, জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং শোষণনীতির বিরোধিতা করায় মার্কিন নীতির ’চোখের কাঁটা’ হয়ে যান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তাই ’চোখের কাঁটা’ সরানোর দায়িত্ব নিয়ে সিআইএর বড় কর্মকর্তা জর্জ গ্রিফিন এখন কলকাতায়। এরই মধ্যে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ পর্ব শেষ করেছেন।
এনএস//
আরও পড়ুন