সন্ধ্যায় খুনিচক্রে’র গোপন বৈঠক
প্রকাশিত : ০৮:৩২, ২ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১২:১৬, ২ আগস্ট ২০২২
২ আগস্ট। শনিবার। ১৯৭৫।
সকাল পৌনে ১০টা। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ইয়াং ফপ দেখা করেন। সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কফিলুদ্দিন মাহমুদ দেখা করেন। সন্ধ্যা ছয়টায় সাবেক এমসিএ মোশাররফ হোসেন চৌধুরী এবং সোয়া ছয়টায় সিলেটের মোস্তফা শহীদ এমপি সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে যৌথ মহড়ার অনুমতি চেয়ে রশিদ সেনা সদরে প্রস্তাব পাঠালেন, ‘আর্টিলারি এবং বেঙ্গল ল্যান্সারের এক সঙ্গে ট্রেনিং করার সুযোগ দেওয়া হোক। রাতের অন্ধকারে অস্ত্র হাতে শত্রুর মোকাবিলা করতে শিখবে সেনারা।’ তিন দিন পর সেনা সদরের অনুমতি মিলল। মানে, এখন থেকে ফারুক-রশিদের সেনারা একসঙ্গে মহড়া করতে পারবে।
সন্ধ্যা সাতটা। খন্দকার মোশতাকের বাড়িতে এলেন রশিদ ও ফারুক। আগে থেকেই বসে ছিলেন মাহবুবুল আলম এবং করিম আর তাহের উদ্দিন ঠাকুর।
রশিদ বলেন, ‘পহেলা সেপ্টেম্বর সারাদেশে বাকশাল প্রশাসন চালু হচ্ছে। তার আগেই কাজটা সেরে ফেলতে হবে। কারণ বাকশাল প্রশাসন চালু হলে সোলজার সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।’
মোশতাক বললেন, ‘তার আগেই কাজটা শেষ করা দরকার।’
এরপর কথা উঠল, সরকার বদলের পর ক্ষমতায় কে বসবে?
রশিদ কথা শেষ করতেই তাহেরউদ্দিন ঠাকুর বললেন, ‘খন্দকার সাহেব এই দেশের জন্য একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি।’
ফারুক বললেন, ‘আমাদের ইচ্ছাও তাই। আচ্ছা আমেরিকা পাশে থাকবে তো?’
পাশে বসা তাহের উদ্দিন ঠাকুর বলেন, ‘ওদের পছন্দের এক নম্বর মানুষ মোশতাক সাহেব।’
গোপন মিটিং শেষ। মোশতাকের আগামসি লেনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় তিনি বললেন, ’গ্রিফিন এখন কলকাতায় এসেছে, তোমরা কেউ ওর সাথে দেখা করে এসো। যেতে হবে গোপনে। কাউবয়েরা যেন টের না পায়।”
সিদ্ধান্ত হলো ডালিম যাবে কলকাতায়।
’র’ প্রধান রামেশ্বর নাথ কাও ঢাকায়। রাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করলেন, বললেন, ‘আপনাকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা চলছে।’
আজীবন মানুষ আর মানবতায় বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধু হাসতে হাসতে বললেন, ‘কী যে সব বলেন আপনারা?’
এসবি/
আরও পড়ুন