ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানে গুপ্তঘাতক উঠিয়ে দেন ভুট্টো (ভিডিও)

মানিক শিকদার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৯, ২ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১৪:৪০, ২ আগস্ট ২০২২

১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাক শাসকরা। তবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীল নকশা আঁকে খুনিরা।

১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে যান বঙ্গবন্ধু। ওই বিমানে বঙ্গবন্ধু একা ছিলেন না। পাকিস্তানের একটি হকি দল ছিল বঙ্গবন্ধুর প্লেনে।

জুলফিকর আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে একজন গুপ্তঘাতকও উঠিয়ে দেন ওই বিমানে। তার প্রতি নির্দেশ ছিলো বিমানে ওঠার আগে অথবা নেমে যাওয়ার সময়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার।

কিন্তু হিথরো বিমানবন্দরে সেদিন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ায় সেই গুপ্তঘাতক তার পরিকল্পনা ফলপ্রসূ করতে পারেননি।

পরে ভুট্টোর নতুন নির্দেশনা ছিল কলকাতায় গেলে সেখানে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ভারতীয় গোয়েন্দারা জেনে গেলে গুপ্তঘাতককে কলকাতায় গ্রেপ্তার করা হয়। বের হয়ে আসে তার পরিচয়, নাম চৌধুরী দবির আহমেদ সিদ্দিকী, বাড়ি গাজিপুরের বলিয়াদীতে। 

সে সময়ে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা প্রচেষ্টার নানা পরিকল্পনাসহ ১২৭ পৃষ্ঠার একটি স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দি দেয় দবির সিদ্দিকী। সেই স্বীকারোক্তির একটি কপি পান ভারতীয় সাংবাদিক পরেশ সাহা। পরেশ সাহার লেখা ‘মুজিব হত্যার তদন্ত ও রায়’ বইয়ে তিনি দবির সিদ্দিকীর বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। 

এরপর বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় দবিরকে।

সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে ভুট্টো নতুন ছক আঁকা শুরু করেন, আর সেই সুযোগ এসে যায় বঙ্গবন্ধু যখন ভুট্টোকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান। 

ভুট্টো ১৯৭৪ সালের জুন মাসে ঢাকায় আসেন পাকিস্তান সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর কর্মকর্তাসহ ১০৭ জনকে নিয়ে। তার ঢাকা সফরের মূল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা নির্ধারণ করা।

’৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নানা পটপরিবর্তনে ক্ষমতা দখল করলে দবির সিদ্দিকিকে মুক্তি দিয়ে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন জিয়া।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি