বঙ্গবন্ধু হত্যা: মামলার তদন্তে চ্যালঞ্জে ছিল যত (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৩৬, ৫ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১১:৪০, ৫ আগস্ট ২০২২
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর মামলা হয়। সেই মামলার তদন্ত করতে যেমন ছিল ঝুঁকি, তেমনি ছিল দেশ-বিদেশের তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করার চ্যালেঞ্জ। সব বাধা উতরে ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে কতোটা ঝুঁকি ও সতর্কতা নিতে হয়েছিল সিআইডিকে, একুশে টেলিভিশনকে বলেছেন ঐ সময়কার সহকারী পুলিশ সুপার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার আকন্দ।
তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনার পর কারো সাহস হয়নি মামলা করার, কারণ তখন সেই পরিস্থিতি ছিল না। এতদিন পরে এই মামলার সাক্ষ্য প্রমাণসহ বিভিন্ন আলামত খুঁজে বের করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ মামলার অনেক সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট হয়েছে, কোনও সাক্ষি মারা গেছে, এভাবেই মামলা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে আমাদের বেশ বেগ পতে হয়েছে।
‘‘অফিস আদালতের নথিপত্র, ফরেইন অফিসের নথিপত্র এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মামলায় যারা সাক্ষি ছিলেন তাদেরকে খুঁজে বের করতে হয়েছে। তারপরেও আমরা মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে মামলাটির তদন্ত সমাপ্ত করেছি।’’
খুনি ফারুক ও রশিদের টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারসহ ৪৬ ধরণের আলামত আদালতে জমা দেওয়ার ব্যাপারে আব্দুল কাহহার বলেন, ‘‘২২ বছর আগের নথিপত্র খুঁজে বের করা এটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল, তবে এই ব্যাপারে আমরা আর্মির ডিজিএফআইয়ের সহযোগিতা পেয়েছি। আর্মির হেডকোয়ার্টার থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করেছি এবং সেই নথি থেকে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদেরকে খুঁজে বের করেছি।’’
পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর বাসা থেকে মালামাল লুট করেছিল ঘাতকচক্র। পর্যায়ক্রমে সিআইডি সেসবও উদ্ধার করেছিলো বলে জানান আব্দুল কাহহার আকন্দ।
এমএম/
আরও পড়ুন