ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

১৫ আগস্টের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন জিয়া (ভিডিও)

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১১:৫০, ৫ আগস্ট ২০২২

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য অন্তত ১৫ মাস ধরে খুনিদের সংগঠিত করে ফারুক রহমান। গবেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপ-প্রধান মেজর জেনারেল জিয়া প্রস্তাবিত অভ্যুত্থান পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন। তিনিই ছিলেন ১৫ আগস্টের অন্যতম খেলোয়াড়। 

শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারকে উৎখাত করতে মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান ১৯৭৪ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় মার্কিন প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করেন। 

ফারুকের অভ্যুত্থান ঘটানোর আগ্রহ প্রকাশের বিষয়টি ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টার তারবার্তার মাধ্যমে ১৯৭৪ সালের ১৫ মে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিলেন। 
এ ঘটনার পাঁচ মাস পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ঢাকা সফর করেন।

মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড বইয়ে উল্লেখ করা হয়, ফারুক রহমান প্রচলিত আইন ও সেনাশৃঙ্খলা উপেক্ষা করে একাধিকবার মার্কিন দূতাবাসে ছুটে গেছেন।

ফারুক-রশিদ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর সম্ভাব্য ভারতীয় হস্তক্ষেপ ঠেকাতে খন্দকার মোশতাক সরকারের পক্ষে মার্কিন দূতাবাসের আরেক কর্মকতার কাছেও গিয়েছিলেন। 

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন নিবন্ধ ও সাক্ষ্য প্রমাণ নিশ্চিত করে যে, সে সময় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়া প্রস্তাবিত অভ্যুত্থান পরিকল্পনা সম্পর্কে আগেভাগে অবহিত হলেও তিনি তা প্রতিহত করতে কোনো উদ্যোগ নেননি। 

লরেন্স লিফশুলজ- কর্নেল আবু তাহের হত্যা মামলায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চে ১৪ মার্চ ২০১১ সালে একটি বিবৃতি দেন। লিখিত হলফনামায় উল্লেখ না করলেও আদালত কক্ষে তিনি বলেছেন, শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। কর্নেল ফারুক ও রশিদের সঙ্গে কথোপকথন এবং অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাসের বই- বাংলাদেশ; অ্যা লিগাসি অব ব্লাড থেকেও সে বিষয়ে ইঙ্গিত মেলে।

এএইচএস/এমএম


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি