বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করার ষড়যন্ত্র দেশি-বিদেশি চক্রের (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৮, ৯ আগস্ট ২০২২
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব শক্ত ভীতের উপর প্রতিষ্ঠিত হলে দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্বল হয়ে যাবে মার্কিন প্রভাব। আর পাকিস্তানের চেষ্টা ছিল ধর্মীয় দলগুলোর মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে মুজিবকে অজনপ্রিয় করা। সে লক্ষ্যেই কাজ করেছে দেশি-বিদেশি চক্র।
স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি।
দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর নৈপুণ্য দেখে বিগড়ে গেলো মার্কিন-পাকিস্তান-সৌদিপন্থী দেশগুলো। দেশ ও দেশের বাইরে তৎপর হলো কুচক্রীমহল। সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা মোশতাকদের মতো শকুনও তারা খুঁজে পেলো। অতপর শুরু হলো আমজনতার মাঝে জাতির জনককে অজনপ্রিয় করে তোলার ষড়যন্ত্র।
নিরাপত্তা ও রাজনীতি বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহম্মদ আলী শিকদার বলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে পাকিস্তানের সাথে হয়তো নিবে না। কিন্তু পাকিস্তানের মতো একটা ধর্ম রাজনীতি রাষ্ট্র এবং সেই আদর্শের রাষ্ট্র তাহলে তাদের ভূরাজনীতিতে যে স্বার্থ আছে সেই স্বার্থটা রক্ষিত হয়। কারণ দুই পাশ থেকে একসঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। এইটাই তাদের লক্ষ্য এবং সেখানে তারা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থেকে অন্যান্য জায়গায় তাদের লোক বসিয়েছে।”
নিরাপত্তা ও রাজনীতি বিশ্লেষক মোহাম্মদ আলী শিকদারের অভিমত, পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি পাটকলেও আগুন দেয় এই চক্র।
মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, “২৭টি পাটকলে আগুন দিল একদিনে, ২৯৭২ সালের ২৭ নভেম্বর। কিভাবে এটা সম্ভব, সুপরিকল্পিত না হলে। প্রশাসনের প্রতি পর্বে পর্বে তারা এমন সব ব্যবস্থা নিয়েছে যাতে বঙ্গবন্ধুর সরকার জনপ্রিয়তা হারায়। কারণ জনপ্রিয়তা হারালেই তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে আঘাত হানতে সহজ হবে। ১২ জন সচিবের একজনও ৭১ সালের যুদ্ধে যোগ দেয়নি। ঢাকায় বসে পাকিস্তানের সহযোগিতা করেছে। ৭১ সালের ২ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কর্মকর্তা হয়ে সমস্ত নীতি নির্ধারণী পলিসির দায়দায়িত্ব তাদের উপর বর্তালো।”
“এই ধরনের কর্ম যারা করে তারা হীনমন্যতায় ভোগে। মানুষ যখন হীনমন্যতায় ভোগে তখন তাদেরকে এক্সপলায়েট করা সহজ। এই সুযোগটা পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই নিয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে সূক্ষ্ম পরিচালনার মাধ্যমে তারা এগুলো করেছে। এই যে ৭৪ দুর্ভিক্ষ্য বলেন, খাদ্যের অভাব, দ্রব্যমূল্য সবই।”
শহর থেকে প্রত্যন্ত জনপদে চক্রান্ত করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা।
মোহাম্মদ আলী শিকদার আরও বলেন, “কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদ এটার নেতৃত্ব দিয়েছে। অর্থাৎ ঘাতকদলের নেতৃত্ব। এতো বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র তারা দেশে-বিদেশে এমনভাবে প্রস্তুত করেছে, সমস্ত জায়গাগুলোতে তারা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। সেটা প্রশাসনের জায়গা বলেন, সেনাবাহিনী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা বলেন। সবজাগায় সবাই নিরব-নিশ্চুপ।”
এএইচ
আরও পড়ুন