পুলিশের আত্মসমর্পণ, শুধু বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষীদের প্রতিরোধ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:০৫, ১৫ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১১:০৭, ১৫ আগস্ট ২০২২
রক্ষীবাহিনীর ব্যারাকের সামনে দিয়ে খুনিরা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যায়। ৩২ নম্বরের গেটে সশস্ত্র পুলিশও আত্মসমর্পণ করে। শুধু বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরাই জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ করতে।
পঁচাত্তরের ১৪ আগস্ট রাত ১০টা থেকে খুনিরা রেজিমেন্টের সেনা সদস্যদের সাথে নিয়ে পরিকল্পনা করে। ফারুকের নির্দেশে অস্ত্র কামান গোলা ও জঙ্গি বিমানের প্রস্তুতি নেয় সেনা সদস্যরা।
১৫ আগস্ট ভোর ৪.৪০ মিনিট। ল্যান্সার গ্যারেজে সারিবদ্ধভাবে সাজানো আছে ২৮ ট্যাংক, ১২টি ট্রাক, ৩টি জিপ আর ১০৫ এমএম হাউইজার।
ভোর সোয়া পাঁচটার মধ্যে মেজর মহিউদ্দিন, নুর আর হুদার নেতৃত্বে প্রধান ঘাতকদলটি ৩২ নম্বরে পৌঁছায়।
বাড়ির বাইরে প্রহরারত সশস্ত্র পুলিশ, কালো উর্দি পরা ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সৈন্য দেখে ভড়কে যায়।
সে সময় শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত প্রহরীরা খুনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে আর্টিলারীর শামসুল আলম মারা যায়। আরেক সৈন্য আহত হয়। পরে খুনিরা হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষীদের।
এসময় হাউইটজারের ক্রুরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রবল প্রতিরোধের আশংকায় তারা হাউইটজার থেকে রকেট নিক্ষেপ করে।
এরপরই খুনিরা ধানমণ্ডি ৩২-এ ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায়।
এএইচ
আরও পড়ুন