বঙ্গবন্ধু হত্যায় ফুঁসে উঠেছিলেন অসংখ্য তরুণ-যুবা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১১, ৮ আগস্ট ২০২৩
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবাদহীন ছিল না বাঙালি। দেশে-বিদেশে ফুঁসে উঠেছিলেন অসংখ্য তরুণ-যুবা। কেউ কেউ ডাক দিয়েছিলেন সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের। প্রতিবাদি জনতার সেই দীর্ঘ লড়াইকে মুছে ফেলা হয় ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ক্ষমতায় আসীন হয় স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তি। তারা একদিকে যেমন জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, ঠিক তেমনি বিকৃত করেছে ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর নামে চালিয়েছে নানা অপপ্রচার।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কোথাও কোনও প্রতিবাদ হয়নি বলেও অপপ্রচার চালায় এই অপশক্তি। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫ আগস্ট সকাল থেকেই প্রতিবাদ হয়েছিল বিভিন্ন জায়গায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ, বরগুনা, সিলেট, নাটোর, খুলনা, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ রাস্তায় নামে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা। প্রতিরোধ যুদ্ধের ঘোষণা দেন কাদের সিদ্দিকী।
কিশোরগঞ্জে প্রতিরোধে এগিয়ে আসা এই গবেষক তার স্মৃতিচারণে তুলে ধরেন সেদিনের কথা।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে কিশোরগঞ্জে প্রথম প্রতিবাদকারি ড. হালিম দাদ খান বলেন, “আমাদের মধ্যে হাবিবুর রহমান তখন তিনি ন্যাপে যুক্ত, তিনি ঘরে থাকতেই স্লোগান দিলেন ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যা মানি না, মানি না’। এই বলতে বলতে তিনি ঘর থেকে বেড়িয়ে আসলেন এবং আমরাও ঘর থেকে বেড়িয়ে আসলাম। মিছিল শুরু হয়ে গেল।”
সেই আগুন ঝরা দিনগুলোতে খুনি মোশতাক সরকার এবং বিপথগামি সেনা সদস্যদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন এবং প্রতিবাদ এক-দুদিনে থেমে যায়নি।
ড. হালিম দাদ খান বলেন, “ট্রাক বা পিকআপে থানা থেকে একদল পুলিশ এসে ছাত্র ইউনিয়নের অফিসের সামনে এসে থামলো। নেমে মিনিটখানিক এদিক-ওদিক চেয়ে দেখলো, আবার উঠে টহলে বেড়িয়ে গেল। তখন মনে হল, আমাদের উপর আক্রমণ হতে পারে। কারণ, সাধারণ টহলে এসে এখানে এসে থাকার কথা না বা নামারও কথা নয়।”
জেল-জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে সেদিন রাজপথে ছিলেন প্রতিবাদকারীরা। প্রচার মাধ্যমে সে খবর ছাপানো ছিল নিষিদ্ধ। তবে নতুন প্রজন্ম ছাইচাপা সে ইতিহাস ঠিকই খুঁজে নেবে বলে মনে করেন এই সংগ্রামী।
এএইচ
আরও পড়ুন