বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে অংশীদার হতে আগ্রহী ভারত
প্রকাশিত : ১৮:৫৬, ৮ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৯:২৪, ৮ আগস্ট ২০১৯
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কর্মসূচির অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু এ তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সপ্তম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শেষ দিনে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে তাদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শুরুতে দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
একইসঙ্গে ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সেইসঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'জিরো টলারেন্স' নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদী।
বৈঠকে সীমান্তে মাদকসহ সব চোরাচালান বন্ধে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জবাবে সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধসহ একটি নিরাপদ ও কার্যকর সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এরপর রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করলে নরেন্দ্র মোদী জানান, ভারত সরকার ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আলোচনা করেছে এবং ভারত সরকার মনে করে- এ সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
বৈঠকে এ এলাকার আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নে বিমসটেক কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে কোনও সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী যাতে ভারতসহ অন্য কোনও দেশের ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ‘বাংলাদেশ বিশ্বে এক রোল মডেল’ অভিহিত করে বিশেষজ্ঞদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অবলোকন করার জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণের আহ্বান জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান ও আইজিপি ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী।
এনএস/আরকে
আরও পড়ুন