মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছে বঙ্গবন্ধু: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৭:৫৯, ১৬ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৮:০৩, ১৬ আগস্ট ২০১৯
ধাপে ধাপে শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলে মন্তব্য করছেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজের চাওয়া-পাওয়ার জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্য এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই কাজ করছে বর্তমান সরকার। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় আমরা দুই বোন বিদেশে ছিলাম। সেসময় দেশে ফেরার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তৎকালীন সরকার। ১৯৮১ সালে তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওংয়ার পর ১৭ মে আমি দেশে ফিরে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শোকাবহ কালোদিবসে ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
জাতীয় শোক দিবসে মহান আল্লাহর দরবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
টিআর/
আরও পড়ুন