ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

পৃথিবী কাঁপানো স্লোগান ‘জয় বাংলা’ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

বাঙালির জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্মুখ সমর ছিলো মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষসহ সর্বস্তরের জনতা। কেউ পরোক্ষে, কেউ সরাসরি। রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছিল অজস্র পোস্টার, গান, আর গগণবিদারী সব স্লোগান। পৃথিবী কাঁপানো স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতার ডাক দিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো বাংলার জনতা। শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ।

সাধারণ মানুষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সব অবদান, পেছনে মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে মুক্তিযুদ্ধের গান, স্লোগান এবং পোস্টার।

মুক্তিযুদ্ধের জনপ্রিয় তিনটি স্লোগানের একটি বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। এই একটি স্লোগান নিজের মধ্যে এতটাই উদ্দীপনা নিয়ে আসে যে, কেউ চাইলেও ঘরে বসে থাকতে পারেনি। দোলা দিয়েছে তরুণ রক্তে।

মুক্তিযুদ্ধের আরও দুই জনপ্রিয় স্লোগান, তুমি কে, আমি কে/ বাঙালি, বাঙালি। তোমার আমার ঠিকানা/ পদ্মা, মেঘনা, যমুনা। সে সময় এসব স্লোগানই প্রেরণা যুগিয়েছে সামনের দিনে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার।

এই তিনটি স্লোগানের বাইরে পৃথিবী কাঁপানো স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা রণধ্বনি হিসেবে ব্যবহার করতো জয় বাংলা। গগণবিদারী ওই স্লোগান জয়ের নেশা জাগিয়েছিল বাঙালী মনে। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল আলম (বীর প্রতীক) বলেন, জয় বাংলা স্লোগান ছিল সার্বজনিন। প্রত্যেকটি ব্যক্তি, প্রত্যেকটি বাঙালি আমার ধারণা, আমার কানেও শোনা, কেউ তো না করেনি- সবারই মুখে জয় বাংলা ছিল। এটা কোন গোষ্ঠীর বা প্রতিষ্ঠানের নয়, প্রতিটি বাঙালির স্লোগান জয় বাংলা।

নয় মাসের যুদ্ধ শেষে বিজয় অর্জিত হয়। বাংলার মাটিতে উদিত হয় স্বাধীনতার সূর্য। বিজয়ের সেই দিনটি স্মৃতির পাতায় আজও চির ভাস্বর। সে পথ বেয়েই বিজয়ের ৪৯ বছরে পা দিয়েছে বাঙালি জাতি।

ভিডিও-

 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি