ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের বীরত্বগাঁথা (ভিডিও)

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১২:১৯, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

স্বাধীনতার জন্য বাঙ্গালী দিয়েছে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত। এরমধ্যেও কিছু আত্মত্যাগ অনন্য নজির স্থাপনের পাশাপাশি যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছে। তাদের অনন্য অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে ৭ সাহসী যোদ্ধাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাদেরই একজন নূর মোহাম্মদ শেখ শেখের বীরত্বগাঁথা নিয়ে মানিক শিকদারের প্রতিবেদন।

১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলার নড়াইল মহকুমার মহিষখোলা গ্রামে জন্ম নূর মোহাম্মদ শেখের। শৈশবেই বাবা মা হারান, সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে ছেড়ে দেন স্কুল। কৈশোরে নাটক থিয়েটার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

১৯৫৯ ইপিআর এ সৈনিক হিসেবে যোগ দেন। একাত্তরের উত্তাল মার্চে তিনি ছুটিতে নড়াইলে অবস্থান করছিলেন। পাকিস্তানীদের গণহত্যার খবর পেয়ে অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গার ইপিআর এর ৪নং উইং এ নিজ কোম্পানির সাথে যোগ দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ৮ নং সেক্টরের অসীম সাহসের সাথে পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেন।

৫ সেপ্টেম্বর যশোরের সুতিপুরে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প এর প্রতিরক্ষায় নূর মোহাম্মদসহ ৫জন মুক্তিযোদ্ধা টহলরত ছিলে। সকাল সাড়ে নয়টায় দিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের তিন দিক থেকে ঘিরে গুলিবর্ষণ শুরু করে। নূর মোহাম্মদের সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। নান্নু মিয়াকে কাঁধে তুলে হাতের এলএমজি দিয়ে শত্রদের উপর গুলি চালাতে থাকেন তিনি, শত্র“রা পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু হঠাৎ একটি মর্টারের গোলা তাঁর ডান কাঁধে এসে লাগে।

নিজের জীবনের পরোয়া না করে সহযোদ্ধাকে বাঁচানোর জন্য সিপাহী মোস্তফাকে এলএমজি তুলে দিয়ে নান্নু মিয়াকে নিয়ে সরে যেতে বললেন। পরে মোস্তফার রাইফেল নিয়ে শত্র“দের ঠেকিয়ে রাখতে প্রাণপন চেষ্টা চালান। আহত নূর মোহাম্মদের গুলি শেষ হয়ে গেলে শত্র“রা এই বীর যোদ্ধাকে বেয়নেট দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে নির্মম ভাবে হত্যা করে।

এই বীরসেনানীকে যশোরের কাশিপুর গ্রামে সমাহিত করা হয়।
 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি