বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িতদের দেশে আনার দাবি সাংবাদিকদের
প্রকাশিত : ১৩:৫০, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৭:২৮, ৩০ আগস্ট ২০১৮
বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিকরা। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রেস ক্লাবের আয়োজনে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিশিষ্ট সাংবাদিকরা এই দাবি জানান।
এসময় বক্তারা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান। এদের একজন যুক্তরাজ্য এবং একজন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একের পর এক হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর আলবদর-রাজাকাররা। শিক্ষক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক , সাংবাদিক বেছে বেছে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে বর্বর কায়দায়।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের তখন চূড়ান্ত পর্যায়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী প্রায় পর্যুদস্ত। তখনই ১০ থেকে ১৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তালিকা ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘৃণ্যতম অপকর্মটি করে ঘাতক চক্র। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিজয়ী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে দেওয়া। যাতে ভবিষ্যতে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। এ সময় সান্ধ্য আইনের মধ্যে রাতের আঁধারে তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে অপহরণ করে চোখ বেঁধে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বক্তারা বলেন, ১৪ ডিসেম্বর চারদিকে যখন পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের রব, ঠিক তখনই পাকিস্তানি ঘাতকরা মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, সন্তোষ ভট্টাচার্য, শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজুদ্দিন হোসেন, আবুল খায়ের, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, মনিরুজ্জামান, আনোয়ার পাশা, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, রশিদুল হাসান, সিরাজুল হক খান, ডা. আলীম উদ্দিন, ডা. ফজলে রাব্বি, নাজমুল হক, খন্দকার আবু তালেব, ডা. আমির উদ্দিন, সাইদুল হাসান প্রমুখ বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। এছাড়া অনেক বুদ্ধিজীবীকে তুলে নিয়ে যায়। যাদের আজ পর্যন্ত খোজ পাওয়া যায়নি। এসময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সিনিয়র সহ সভাপতি সাইফুল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক স্বপন কুমার সাহা, শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
/ এআর /