ঢাকা, রবিবার   ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

মীর মশাররফ হোসেন গ্রন্থাগারের বেহাল দশা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:১২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কালজয়ী উপন্যাস বিষাদ-সিন্ধুর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের সমাধিস্থল রাজবাড়ীর পদমদী গ্রামে প্রতিষ্ঠিতি স্মৃতি কেন্দ্রের গ্রন্থাগারে বাংলায় রচিত তার কোনো বই নেই। চালু নেই পাঠকক্ষ ও গ্রন্থাগার। রয়েছে জনবল সংকটও। ফলে বাংলা ভাষা-সাহিত্য চর্চাসহ কেন্দ্রটির কোনো সুফলই পাচ্ছেন না দর্শনার্থী ও সাহিত্যপ্রেমীরা।

বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু হয় ‘মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র।’ বাংলা একাডেমির অধীনে দুই কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ভবনটি। কিন্তু মাত্র এক যুগের ব্যবধানে এখন করুণ দশা। কেন্দ্রের ভেতরে লাইট পোস্টগুলো ভাঙা; বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলোও সাবাড়।

সেখানে সহকারী পরিচালক ও গ্রন্থাগারিকসহ পাঁচটি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র তিনজন কর্মচারী। তাদেরই একজন জানালেন, বিষাদ-সিন্ধুর একটি ইংরেজি ভার্সন ছাড়া মীর মশাররফ হোসেনের কোনো বই এখানে নেই।

গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্মবিষয়ক ৩৭টি বই রচনা করেছেন মশাররফ হোসেন। অথচ দর্শনার্থীদের অনুরোধে মাঝেমধ্যে পাঠকক্ষ ও গ্রন্থাগার খোলা হলেও তার বই না পেয়ে হতাশ হন তারা। আক্ষেপের সুর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কণ্ঠেও।

মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহণ করলেও ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর পদমদী গ্রামে মারা যান। সেখানেই দাফন করা হয় তাকে। বাংলা সাহিত্যে মীর মশাররফের অবদান নতুন প্রজন্মেও সামনে তুলে ধরতে স্মৃতি কেন্দ্রটির যথাযথ সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।

ভিডিও

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি