২৬ দিনে মেলায় নতুন ৪৩৩৬ বই প্রকাশ
প্রকাশিত : ২১:১৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২২:৪৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
অমর একুশের গ্রন্থমেলা শেষ হতে আর মাত্র দুদিন বাকি। এর মধ্যেই নতুন বই প্রকাশ গত বছরের মেলাকে ছাড়িয়ে গেছে। এবারের মেলার মোট ২৬ দিনে নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে মোট ৪ হাজার ৩৩৬টি। গত বছর নতুন বই এসেছিল মেলায় ৪ হাজার ১২শ’টি।
গত মেলায় নতুন বই প্রকাশে শীর্ষে ছিল কবিতা। এবারের মেলার সোমবার পর্যন্ত ২৬ দিনে শীর্ষে রয়েছে কবিতার বই ১২৯২টি। এর পরই রয়েয়ে ছোট গল্পের বই ৬১৩টি। তৃর্তীয় অবস্থানে রয়েছে উপন্যাস ৫৭৮টি। প্রবন্ধ রয়েছে ২৪১, বিজ্ঞান ৯১টি, ছড়ার বই ৯৭টি, ইতিহাস ৯৪, শিশুতোষ ২১৩টি এবং অন্যান্য বিষয়ে ৭০১টি নতুন বই এসেছে এবারের মেলায়। সোমবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১১৭টি।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে জানান, এই মেলায় প্রতিবছর কয়েকশত নতুন লেখকের প্রথম বই প্রকাশ পায়। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। এই পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের কাছাকাছি নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৫০জন লেখকের প্রথম বই মেলায় এসেছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, একুশের গ্রন্থমেলা আমাদের প্রতিবছরই অসংখ্য নতুন লেখকের বই উপহার দিচ্ছে। লিখতে লিখতেই লেখকের সৃষ্টি হয়। কার বই কি রকম, তা বই প্রকাশ না পেলে তো বিচার করা যায় না। একাডেমির মেলা হচ্ছে আমাদের সাহিত্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম।
গবেষক ও লেখক আবুল আহসান চৌধুরী জানান, এ মেলা শুধুই বই প্রকাশ ও বই বিক্রির জন্য নয়। মহান একুশের পথ ধরে মেলার শুরু হয়েছিল। এবং তা আজ বাঙালির মিলন মেলায় পরিণত। একই সাথে বাংলা সাহিত্য, ইতিহাস, সংস্কৃতিকে লালন করে আমাদের নানাবিধ বোধ ও বোধনকে উচ্চ শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। যা পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। সাথে যোগ হয়েছে বাংলা একাডেমির আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। বিশ্বের অসংখ্য লেখকরা আসছেন মেলা ও সম্মেলনকে কেন্দ্র করে।
সোমবার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য নতুন বইয়ের মধ্যে রয়েছে, খালেদ হোসাইনের ‘কবিতা সমগ্র, অনিন্দ প্রকাশনী, কুমার প্রীতীশ বল’এর ‘মুক্তিযুদ্ধের ১০টি নাটক, ন্যাশনাল পাবলিশার্স, আবদুল মান্নান সৈয়দের ‘অগ্রন্থিত রচনাবলী, অনিন্দ প্রকাশন, আলী ইমামের ‘নানা প্রসঙ্গ’, কাশবন, উস্তাদ বাবু রহমানের ‘কন্ঠশ্রী স্বাস্থ্যশ্রী’, হাওলাদার প্রকাশনী, বেহুলা প্রকাশনীতে এসেছে বিজয় চাকমার ‘বেহুলা বাংলা।’
মেলার মূল মঞ্চে আজ বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিজয় সরকার’ শীর্ষক আলোচনা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহিদা খাতুন। সভাপতিত্ব করেন গবেষক ও লেখক আবুল আহসান চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক শফি আহমেদ এবং নারীনেত্রী ও লেখক মালেকা বেগম। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লোক সংগীত পরিবেশন করে বিভিন্ন শিল্পীরা। সূত্র: বাসস
//আর//