মেলায় বই বিক্রির রেকর্ড
প্রকাশিত : ২২:৪৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৩৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
এবারের বই মেলায় রেকর্ড পরিমাণ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলায় ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই বিক্রয় হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫ কোটি টাকার বেশি।
বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। যা ছিল তার আগের বছরের চেয়ে ২৩ কোটি টাকা বেশি। নতুন বই বই প্রকাশিত হয়েছে ৪ হাজার ৫৯১ টি। গত মেলায় নতুন বই প্রকাশ পেয়েছিল ৩ হাজার ৬৬৬টি।
বুধবার বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
ড. জালাল আহমেদ জানান, এবারের মেলায় গত মেলার চেয়েও মোট ৯৩৪টি বেশি বই প্রকাশ পেয়েছে। এই সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ, অনেক প্রকাশনা সংস্থা তাদের নতুন বইয়ের তালিকা বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও একাডেমির তথ্য কেন্দ্রে জমা দেয়নি। ফলে একাডেমির তথ্যকেন্দ্রে যে সব বইয়ের তালিকা জমা পড়েছে সেই তথ্যই আমরা মিডিয়াকে জানিয়ে দিচ্ছি।
নতুন বইয়ে রেকর্ড
বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্র থেকে জানা যায়, এবার বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চার হাজার ৫৯১টি। যা গতবারের চেয়ে ৯৪৫টি বেশি। গতবার বই প্রকাশিত হয়েছিল ৩ হাজার ৬৬৬টি।
এবার নতুন বইয়ের মধ্যে কবিতার বইয়ের সংখ্যা বেশি ১ হাজার ৪৭২টি। এরপর রয়েছে গল্প ও উপন্যাসের স্থান। এবার গল্পের বই ৭০১টি এবং ৬৪৩টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।
মননশীল বইয়ের মধ্যে প্রবন্ধ ২৫৭টি, গবেষণা ১২২টি, জীবনীগ্রন্থ ১০৭টি, রচনাবলী ১৫টি, নাটক ২৩টি, ভ্রমণ বিষয়ক ৯১টি, ইতিহাসের ১১০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বই প্রকাশিত হয়েছে ৯১টি।
এছাড়া নতুন বইয়ের মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ক ৭৬টি, রাজনীতি-২২টি, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য- ৩৩টি, রম্য ও ধাঁধাঁ-২১টি, ধর্মীয়- ২৬টি এবং ৪৮টি অনুবাদ গন্থ প্রকাশিত হয়েছে। শিশুতোষ বই এসেছে ১২৫টি।
তরুণ পাঠকের আগ্রহের তুঙ্গে থাকা সায়েন্স ফিকশন ও গোয়েন্দা বিষয়ক বই এসেছে ৬৫টি। এছাড়া অভিধান বিষয়ক বই এসেছে ৭টি, অন্যান্য বিষয়ে এসেছে ৪২৪টি বই।
বই মেলার শেষ দিনে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশের আদিবাসী ’ শীর্ষক সেমিনার। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাহমান নাসির উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন রাশিদ আসকারী। আলোচনায় অংশ নেন ফয়জুল লতিফ চৌধুরী ও রণজিত সিংহ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান। বক্তব্য রাখেন মেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।
কেআই/টিকে