যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে প্রথম গণআদালত বসেছিল নেত্রকোণায়
প্রকাশিত : ০৮:৩৯, ৪ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:২৪, ৪ মার্চ ২০১৮
মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাংলাদেশে প্রথম গণআদালত বসেছিল নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের রোইয়ার মাঠে। ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর এই গণআদালতে রাজাকারদের বিচার কার্যকর করা হয়। ঐতিহাসিক মাঠটি সংরক্ষণ করে এখানে ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পরপরই নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের প্রায় ছয়টি গ্রামের পাঁচশ’র বেশি হিন্দু বাড়ী দখল করে নিয়েছিল রাজাকাররা। চালিয়ে ছিল অগ্নিসংযোগ, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট।
নয় মাস যুদ্ধের পর ৮ ডিসেম্বর ভোরে মিত্রবাহিনীকে সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী সেনাদের তাড়িয়ে মোহনগঞ্জে উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলার পতাকা।
এ’সময় নয়জন রাজাকারকে আটক করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় গণআদালতে বিচার হবে তাদের।
১২ ডিসেম্বর হাজারো জনতার উপস্থিতিতে গণআদালতের কার্যক্রম শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. আখলাখ হোসাইন।
উপস্থিত জনতা চিৎকার করে রাজাকারদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষনা করেন। ওই রাতেই তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মাঠটিতে একটি ঘৃণাস্তম্ভ তৈরি করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকারদের নামের তালিকা প্রদর্শনের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
অচিরেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
ঐতিহাসিক মাঠটি সংরক্ষণ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষায় এগিয়ে আসবে প্রশাসন, এমনটাই আশা মোহনগঞ্জবাসীর।
এসইউএ/