নাটোরে উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের পতাকা [ভিডিও]
প্রকাশিত : ০০:১৪, ১৭ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ২২:১১, ১৭ মার্চ ২০১৮
১৯৭১’র উত্তাল মার্চে নাটোরের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা তৎকালীন মহকুমা প্রশাসকের অফিস, বাসভবন, কাচারি মাঠ, থানা ও উপ-কারাগার থেকে পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে।
পরবর্তীতে ট্রেজারি থেকে অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধে। স্বাধীনতার এতো বছর পরও সংরক্ষণ করা হয়নি সেই সব স্থান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পর নাটোরে গঠন করা হয় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ছাত্র সংগঠনের নেতারা মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এছাড়া মহকুমা প্রশাসকের বাসভবন ও অফিস সংলগ্ন কাচারি মাঠের ফ্ল্যাগ হোষ্টিং এবং আদালত, থানা ও জেলখানাতেও পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।
ট্রেজারি থেকে অস্ত্র নিয়ে এনএস কলেজের সাবেক ছাত্রাবাস, বর্তমানের রানী ভবানী মহিলা সরকারি কলেজ মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে এই যোদ্ধারা লালপুরের ময়না গ্রামে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন।
তৎকালীন মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয় ও আদালত এলাকায় সদর হাসপাতাল এবং কাচারি মাঠে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ নির্মিত হওয়ায় স্থানগুলো সংরক্ষণ করা যায়নি।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছে নাটোরবাসী।
ভিডিও: