লক্ষ্মীপুরে বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো বেদখল(ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:০০, ২১ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৮:১০, ২১ মার্চ ২০১৮
লক্ষ্মীপুরে বেদখল হয়ে যাচ্ছে বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো। অনেক বধ্যভূমি আবার পড়ে আছে অযত্ম-অবহেলায়। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে দ্রুত বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
১৯৭১ সালে ৯ মাসে পাক হানাদারদের সাথে ২১টি সম্মুখযুদ্ধ হয় লক্ষ্মীপুরে। প্রায় ৯০টি অভিযানে অংশ নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। শহীদ হন ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
জেলার বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চালায় হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনী। সদর উপজেলার বাগবাড়ীর আশপাশের ৪-৫টি গ্রামের কয়েক হাজার নিরীহ গ্রামবাসীকে সারের গুদামে টর্চার সেলে হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনী। মৃতদেহ ফেলে দেয়া হতো মাদাম ব্রীজের পাশে একটি কূপে।
পাকিস্তানী সেনারা সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালায় রামগঞ্জের রতনপুর গ্রামে। রামগতি ও রায়পুরের বিভিন্ন স্থানে চালানো হয় গণহত্যা। এরকম অনেক বধ্যভূমি পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। অনেকগুলো চলে গেছে প্রভাবশালীদের দখলে।
বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
লক্ষ্মীপুরে বধ্যভূমির সংখ্যা আনুমানিক ১০০টি। এরমধ্যে যেগুলো চিহ্নিত হয়েছে, সংস্কারের অভাবে সেগুলোরও বেহাল দশা।