ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

স্মৃতির পাতায় ১৯৭১

তোফায়েল আহমেদ :

প্রকাশিত : ১০:৫৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলাম কলকাতার থিয়েটার রোডে প্রথম বাংলাদেশ সরকারের সদর দপ্তরে। সেখানে অবস্থান করছিলেন শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দ- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য মনসুর আলী, কামারুজ্জামান ও অন্যরা। সবাই আনন্দে আত্মহারা! নেতৃবৃন্দ আমাদের বুকে টেনে নিয়ে আদর করেছিলেন। প্রিয় মাতৃভূমিকে আমরা হানাদারমুক্ত করতে পেরেছি, মনের গভীরে যে কী উচ্ছ্বাস, কী আনন্দ; সে আনন্দ-অনুভূতি অনির্বচনীয়! স্বাধীন বাংলার যে ছবি জাতির পিতা হৃদয় দিয়ে অঙ্কন করে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র করে বজ্রকণ্ঠে বলেছিলেন, `কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।` পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অদম্য বাঙালি জাতি নেতার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সমগ্র বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, জাতীয় মুক্তির ন্যায্য দাবির প্রশ্নে কেউ আমাদের `দমাতে` পারে না। জাতীয় জীবনের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আমার জীবনেও ডিসেম্বর মাস আনন্দ-বেদনার স্মৃতিতে উদ্ভাসিত। `৭০-এর ডিসেম্বরে মাত্র ২৭ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য হয়েছিলাম। ১৯৬৯-এর ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু মুজিবের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের স্লোগান তুলেছিলাম। বঙ্গবন্ধু সেদিন এই জনপদের নামকরণ করেছিলেন `বাংলাদেশ`। সমবেত জনতাকে আহ্বান করে বলেছিলেন, `আমার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে স্লোগান তুলুন, `আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ`।

`৭১-এর ৩ ডিসেম্বর থেকে সার্বিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত রূপ অর্জন করে। মুক্তিবাহিনীর চতুর্মুখী গেরিলা আক্রমণে বিধ্বস্ত পাকিস্তান বাহিনী এদিন উপায় না দেখে একতরফাভাবে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। গভীর রাতে ইন্দিরা গান্ধী এক বেতার ভাষণে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সাফ জানিয়ে দেন, `আজ এই যুদ্ধ ভারতের যুদ্ধ হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করল।` পরদিন ৪ ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ যৌথভাবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি অর্জনে চিঠি লেখেন। এর পরপরই ভারত ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন ও সার্বভৌম `গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ`কে স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক `৭১-এর ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে গৃহীত রাষ্ট্রের নাম `গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ` উদ্ধৃত করে লোকসভার অধিবেশনে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, "বাংলাদেশ `গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ` নামে অভিহিত হবে।" ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তৃতার পর লোকসভার সব সদস্য দাঁড়িয়ে তুমুল হর্ষধ্বনির মাধ্যমে এই ঘোষণাকে অভিনন্দন জানান। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারত সরকার ও জনসাধারণের ভূমিকা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি।
স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ও মুজিব বাহিনীর জন্য ৭ ডিসেম্বর ছিল এক বিশেষ দিন। এদিন মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চল যশোর হানাদারমুক্ত হয়। যশোরের সর্বত্র উত্তোলিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। সেদিন সরকারের নেতৃবৃন্দ ও মুজিব বাহিনীর কমান্ডাররাসহ আমরা বিজয়ীর বেশে স্বাধীন বাংলাদেশের শত্রুমুক্ত প্রথম মুক্তাঞ্চল যশোরে প্রবেশ করি। জনসাধারণ আমাদের বিজয়মাল্যে ভূষিত করে। সে আনন্দ-অনুভূতির কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অনেকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মুজিব বাহিনীর ভুল বোঝাবুঝির কথা বলেন। এটা সঠিক নয়। আমাদের হেডকোয়ার্টার ছিল কলকাতা বেইজড। আমি নিয়মিত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম। মনে পড়ে জেনারেল ওবানের কথা। তিনি দেরাদুনে আমাদের ট্রেনিং দিতেন। জেনারেল সরকার ও ডিপি ধর, যাঁরা আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে কো-অর্ডিনেট করতেন। সমগ্র বাংলাদেশকে চারটি বৃহৎ অঞ্চলে বিভক্ত করে রাজনৈতিকভাবে অগ্রসর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সংগঠিত ছিল মুজিব বাহিনী। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান সেনাপতি আতাউল গনি ওসমানীর নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর (এফএফ) সঙ্গে একত্রে যুদ্ধ করে পাকিস্তান বাহিনীকে মোকাবেলা করাই ছিল মূলত মুজিব বাহিনীর কাজ।
১৮ ডিসেম্বর আমি ও শ্রদ্ধেয় নেতা আবদুর রাজ্জাক- আমরা দু`ভাই হেলিকপ্টারে ঢাকায় আসি। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পদার্পণ করি। চারদিকে সে কী আনন্দ, ভাষায় প্রকাশ করা যায় না! প্রথমেই ছুটে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শ্রদ্ধেয়া ভাবি বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারকে যেখানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, সেখানে। কিন্তু বিজয়ের আনন্দ ছাপিয়ে কেবলই মনে পড়ছিল প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর কথা। বাংলাদেশ সরকারের নেতৃবৃন্দ অপূর্ব দক্ষতার সঙ্গে, দল-মত-শ্রেণি নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে, আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে সফলভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন ২২ ডিসেম্বর। বিমানবন্দরে নেতৃবৃন্দকে বিজয়মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানাই। ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা অনুযায়ী নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিল পাকিস্তানিদের দোসর এ দেশীয় রাজাকার-আলবদর বাহিনীর ঘাতকরা। মনে পড়ে নির্ভীক সাংবাদিক শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের কথা। মনে পড়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দীন আহমদ, আনোয়ার পাশা, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. আবুল খায়েরসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কথা। জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা আমাদের মেধাহীন জাতিতে পরিণত করতে চেয়েছিল।
আমরা সে সময় স্লোগান দিয়েছি, `জাগো জাগো বাঙ্গালী জাগো`; `পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা`; `তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা`; `বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো`; `জয় বাংলা` ইত্যাদি। সেদিন কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিষ্টান এসব প্রশ্ন ছিল অবান্তর। আমাদের মূল স্লোগান ছিল- `তুমি কে? আমি কে? বাঙালি, বাঙালি।` আমাদের পরিচয় ছিল `আমরা সবাই বাঙালি`। অথচ ভাবতে অবাক লাগে, যে পাকিস্তানের কারাগার বঙ্গবন্ধুকে আটকে রাখতে পারেনি; মৃত্যুদণ্ড দিয়েও কার্যকর করতে পারেনি। অথচ `৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পরাজিত শক্তির দোসর খুনি মোশতাক-রশীদ-ফারুক-ডালিম চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করল! যে স্বাধীনতাবিরোধীরা মাকে ছেলেহারা, পিতাকে পুত্রহারা, বোনকে স্বামীহারা করেছিল; জেনারেল জিয়া তাদেরকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সংবিধান থেকে উৎপাটিত করেছিল।
একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করার জন্য গত বছরের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর কলকাতা গিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস কলকাতার যে বাড়িতে আমরা ছিলাম- সানি ভিলা, ২১নং রাজেন্দ্র রোড, নর্দার্ন পার্ক, ভবানীপুর, কলকাতা, সেখানে গিয়েছিলাম। গিয়েছিলাম ব্যারাকপুর। যেখানে মুজিব বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যদের নিয়ে আমি অবস্থান করতাম এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সীমান্তে নিয়ে তাদের দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করাতাম। গিয়েছিলাম ৮নং থিয়েটার রোডে। স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠেছিল চার জাতীয় নেতা, যারা এখান থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র থাকাকালে বঙ্গবন্ধু যে হোস্টেলে থাকতেন, সেই বেকার হোস্টেলে গিয়েছিলাম। সেখানে `বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ` নামে একটি কক্ষ দেখে অভিভূত হয়েছি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানাদি যেখান থেকে পরিচালিত হতো, সেখানে গিয়েছিলাম। বাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠেছিল।
বিশ্বের প্রধান প্রধান জরিপকারী সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বাংলাদেশ হচ্ছে উদীয়মান ১১টি দেশের অন্যতম। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট মতে, সামাজিক খাতের অগ্রগতিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারত থেকে এগিয়ে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, `সামাজিক-অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে এগিয়ে। এমনকি সামাজিক কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারত থেকেও এগিয়ে।` আমাদের রফতানি, রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, বিদ্যুৎ উৎপাদন পাকিস্তান থেকে বেশি। আবার সামাজিক খাতে আমাদের গড় আয়ু ভারত-পাকিস্তান থেকে বেশি। মাতৃমৃত্যুর হার, শিশুমৃত্যুর হার, জন্মহার ভারত-পাকিস্তান থেকে কম। নারীর ক্ষমতায়নেও আমরা এগিয়ে। আমাদের দেশে এখন শতকরা ৮৫ জন বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে। অর্থাৎ সামগ্রিকতায় বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে বিকাশমান। আমরা জনসাধারণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের আশাবাদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত `রূপকল্প` অনুযায়ী ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে। ইতিমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। মহান বিজয় দিবসের ৪৭তম বার্ষিকীতে আজ গর্ব করে বলতে পারি, যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজ তা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হতে চলেছে। শিগগির বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। আজ দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে; কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সংবিধান পরিবর্তন করেছিল, রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিকে যারা বাতিল করেছিল এবং যারা দেশের স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিল- আজকে আমরা সেই স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে পুনরুদ্ধার করেছি। জাতির পিতার হত্যার বিচার শেষ করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের হত্যার বিচার করে ইতিমধ্যে অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, বাকিদের বিচারকার্য চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল- এক. বাংলাদেশের স্বাধীনতা; দুই. বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করা। একটি তিনি পূর্ণ করে গিয়েছেন। আরেকটি আজকে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলেছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।
লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য, বাণিজ্যমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি