ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

১৩ ডিসেম্বর : আক্কেলপুর হানাদার মুক্ত দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

আজ ১৩ ডিসেম্বর ‘আক্কেলপুর হানাদার মুক্ত দিবস’। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সান্তাহার হতে রেলপথ দিয়ে পাকবাহিনী আক্কেলপুরের দিকে যায়। এ সময় ট্রেন থামিয়ে প্রথমে ভদ্রকালী গ্রামে আরম্ভ করে অগ্নিসংযোগ। অগ্নিসংযোগ করে একের পর এক বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।

ঐদিন বিকেলে পাকবাহিনী আক্কেলপুরে প্রবেশ করে। পাকবাহিনী রেলস্টেশনে ও মাদ্রাসায় ক্যাম্প স্থাপন করে। পাকবাহিনী বিভিন্ন গ্রামে অগ্নিসংযোগ মাধ্যমে নিরীহ মানুষদের আতংকিত করে তাদের বাড়িঘরে লুটপাট করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় দেশীয় লাল, রাজাকার ও আলবদর।

আক্কেলপুর থেকে মানুষ পালিয়ে জীবন বাচাঁতে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়। সেই মুহূর্তে অঘোষিত বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৩শ ৩০ জন যুবক মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। শপথ নেন দেশ স্বাধীনের দৃঢ় প্রত্যয়ে। পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ৯ মাসের যুদ্ধে অঘোষিত থানার ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

বগুড়ার পাইকার বংশের ছেলে যার নামে বগুড়ার শহীদ খোকন পার্ক প্রতিষ্ঠিত সেই খোকন আক্কেলপুরে শহীদ হন। শহীদ হন পাহাড়পুরের যুদ্ধে আক্কেলপুরের ফজলুল করিম সহ অনেকে। শহীদদের গণকবর এখানে রয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সকালে পাকসেনারা আক্কেলপুর থেকে পায়ে হেঁটে জয়পুরহাটের অভিমুখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় রাজাকার দালালরা গা ঢাকা দেয়। বিকেলেই মুক্তিবাহিনী দখল করে আক্কেলপুর। স্বাধীন হয় আক্কেলপুর। উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজ পতাকা।

প্রতিবছর এ দিনটি ঘিরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে যোদ্ধারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আক্কেলপুরবাসী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরসহ স্বাধীনতাকামীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি