বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস আজ
প্রকাশিত : ১০:৪০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
আজ ৮ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস। বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপি এবারের প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে ‘কোভিড-১৯-পরবর্তী সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবনে ফিরতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ভূমিকাই মূখ্য।’
এ উপলক্ষে আজ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।
চিকিৎসা ব্যবস্থায় ফিজিওথেরাপি গুরুত্ব, ফিজিক্যাল থেরাপিস্টদের ভূমিকা ও অবদান চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ও সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ১৯৫১ সালে থেকে প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালিত হচ্ছে। ১৯৬৬ সালে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় দিবসটির ব্যাপকতা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।
শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব অনেক। বলা হয়ে থাকে অনেক রোগের আসল মেডিসিন এই থেরাপি। অনেক সময় সঠিক ফিজিও থেরাপি দেয়া হলে অস্ত্রোপচারও লাগে না।
অর্থোপেডিক্স, কার্ডিও পালমোনারি, নিউরোলজি, নিউরো সার্জারি, গাইনোকলজির মতো বহু রোগের ক্ষেত্রে ফিজিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বতন্ত্র চিকিৎসা পদ্ধতি। একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর বাত-ব্যথা বা আঘাতজনিত ব্যথার মতো স্বাস্থ্যসমস্যা নির্ণয় করে পরিপূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেন।
বাংলাদেশে বাত-ব্যথা ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা হয় না। এ কারণে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে প্রয়োজন যথাযথ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন।
দীর্ঘমেয়াদি রোগ, বিশেষ করে বাত-ব্যথা ও পক্ষাঘাতের রোগীদের সমস্যা ওষুধ দিয়ে নিরাময় সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা।
মাংসপেশি ও হাড়ের সমস্যা, পোড়া রোগী, জন্মগতভাবে যেসব শিশু প্যারালাইসিস বা সেরিব্রাল পালসি ও মেরুদণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত বা ঘাড়, হাত, পা বেঁকে যাওয়া ঠিক করতে পারে না, হৃদরোগ ও ফুসফুসের সমস্যা, শল্যচিকিৎসা, বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও পঙ্গু পুনর্বাসনে ফিজিওথেরাপির বিকল্প নেই।
এমবি//