ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আজ বিশ্ব প্রাণী দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৭, ৪ অক্টোবর ২০২০

আজ ৪ অক্টোবর, বিশ্ব প্রাণী দিবস। বিশ্বের সমুদয় প্রাণীকূলের অধিকার এবং কল্যাণের জন্য পালন করা হয় এই দিবস। 

বিশ্ব প্রাণী দিবসের আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে এ দিবসের মূল লক্ষ্য হলো, পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে প্রাণীদের কল্যাণের মাধ্যমে এদের অবস্থার উন্নতি করা। বিশ্ব প্রাণী দিবস উদযাপনের মাধ্যমে প্রাণী কল্যাণ আন্দোলনকে একত্রীত করা, একে আন্তর্জাতিকভাবে জোরদার করে পৃথিবীকে প্রতিটি জীবের জন্য উন্নততর বাসস্থান হিসেবে গড়ে তোলা। জাতি, ধর্ম, বিশ্বাস বা রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে দিবসটিকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালন করা হয়। অধিক জনসচেতনতা এবং শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বকে গড়ে তুলি যেখানে প্রাণীদের সংবেদনশীল প্রজাতি হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তাদের কল্যাণে প প্রাপ্য মনোযোগ দেয়া হয়।
 
বিশ্ব প্রাণী দিবস সর্বপ্রথম হেনরীক জিম্মারমেন নামের একজন জার্মান লেখক এবং প্রকাশক মেন্স উন্ড হুন্দ/মানুষ এবং কুকুর নামের ম্যাগাজিনে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ জার্মানির বার্লিন স্পোর্ট প্যালেসে এই দিবস উদযাপন করেন। ৫,০০০-এর অধিক লোক এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। এই দিবস মূলত বাস্তুসংস্থানবিদ্যার সন্ত, সেন্ট এসিসির ফ্রান্সিসের ভোজ উৎসবের সঙ্গে সংগতি রেখে ৪ অক্টোবর পালন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়ে স্থান সংকুলনের কারণে এই দিনে দিবসটি পালন করা হয়নি।

১৯২৯ সালে প্রথমবারের মতো এই দিবসটি ৪ অক্টোবর পালন করা হয়। প্রথমদিকে তিনি কেবল এই দিবসটিতে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং চেকোস্লোভাকিয়ার অনুসারী পান। বিশ্ব প্রাণী দিবস জনপ্রিয়করণের জন্য জিম্মারমেন প্রতি বছর নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। অবশেষে, ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রাণী সুরক্ষা কংগ্রেসে তার উত্থাপন করা প্রস্তাবমতে ৪ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় 

এটা কখনো কখনো বলা হয়ে থাকে যে, ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে বাস্তুসংস্থানবিদের এক সম্মেলনে সংকটাপন্ন প্রজাতিদের সবার দৃষ্টিগোচর করতে বিশ্ব প্রাণী দিবসের প্রচলন করা হয়।

প্রাণী সুরক্ষা আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ করে, বর্তমানে বিশ্ব প্রাণী দিবস একটি বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যেটাকে ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক প্রাণী কল্যাণ চ্যারিটি নেতৃত্ব এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিবেদনে জীববৈচিত্র্য হ্রাসের পাঁচটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদের অতি আহরণ, জলবায়ু পরিবর্তন, চরম আবহাওয়া এবং আগ্রাসী প্রজাতির দ্রুত বিস্তার। এ ধরনের আশঙ্কাজনক প্রবণতা অর্থনীতি, সমাজ, জনজীবন ও জীবিকা, খাদ্য সুরক্ষা, জল সুরক্ষা সেই সঙ্গে মানুষের জীবনমানকেও বিপন্ন করে তুলছে।

ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট বাংলাদেশ ও দ্য ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন ইউনিয়ন বাংলাদেশ শাখার এক জরিপের তথ্য থেকে জানা যায়, গত ২০০ বছরে বিলুপ্ত হয়েছে অন্তত ৩০০ প্রজাতির প্রাণী। দেড়শ প্রজাতির বন্যপ্রাণী, ১৩ প্রজাতির মেরুদণ্ডী প্রাণী, ৪৭ প্রজাতির দেশি পাখি, ৮ প্রজাতির উভচর, ৬৩ প্রজাতির সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর ১০টি মিলিয়ে প্রায় তিনশ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়াও আছে বিপন্ন ৪৩ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি