মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ‘সাবাস বাংলাদেশ’
প্রকাশিত : ১৫:১১, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ‘সাবাস বাংলাদেশ’। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতীক এই ভাস্কর্য। ‘সাবাস বাংলাদেশ’-এর স্থপতি শিল্পী নিতুন কুণ্ডু। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নামের আরেকটি ভাস্কর্য। এগুলো নব প্রজন্মের কাছে চেতনার মিনার, ইতিহাসের স্মারক।
‘সাবাস বাংলাদেশ; এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়; জ্বলে-পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়’। এই চেতনাকে ধারণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য। ১৯৯২ সালে নির্মিত এই ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও তুলে আনা হয়েছে বরেন্দ্র অঞ্চলের জীবন সংগ্রাম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, ভাস্কর্যের দিকে তাকালে আপনি ডানদিকে পাচ্ছেন বাউলের গান। এটি আমাদের জীবনের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বোঝাচ্ছে, হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বোঝাচ্ছে, বাঙালি জাতিসত্তার বৈশিষ্ট্য বোঝাচ্ছে। আর বাঁদিকে যে মুর্যালটি, সেই মুর্যালটিতে দেখা যাচ্ছে যে সন্তান কোলে মা-শিশু পতাকা ধরে আছে। এটিতে কিন্তু আমাদের বিজয় অর্জনের উল্লাস ফুটে উঠেছে। এই সবকিছু মিলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিশাল ক্যানভাসকে একটি প্রতীকী কায়দার মধ্য দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে।
এই ভাস্কর্যে বিজয় অর্জনসহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট।
প্রফেসর মলয় কুমার ভৌমিক আরও বলেন, এই ভাস্কর্যের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতীক হিসেবে দুটি ফিগার রয়েছে। একটি হচ্ছে রাইফেল ধরে প্রচণ্ড গতিতে সামনে এগুচ্ছে, এটি হচ্ছে গতিময়তা। সেই তুলনায় ডানদিকের ফিগারটি স্থিতধি, সে উল্লাস প্রকাশ করছে। একটি যুদ্ধে যে কেবলমাত্র রাইফেল নিয়ে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করতে হয় তা নয়, সেখানে মাথাও ঠাণ্ডা রাখতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও প্রতিদিন এ ভাস্কর্য দেখতে আসেন সব প্রজন্মের মানুষ। এই ভাস্কর্য নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পথ চলতে অনুপ্রাণিত করে।
এদিকে, ২০১৭ সালে ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক। এ স্মারকটি সম্পর্কে জানেন না অনেকেই।
সাবাস বাংলাদেশ ও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকসহ সকল ভাস্কর্য সম্পর্কে সকলকে জানানো জরুরি বলে মনে করেন শিক্ষকরা।
ভিডিও-
এএইচ/