ঢাকা, সোমবার   ০৩ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আজ সাতক্ষীরা ও নোয়াখালী মুক্ত দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৩, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৫:১৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

আজ ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীকে হটিয়ে সাতক্ষীরা ও নোয়াখালী মুক্ত হয়। এরপর থেকেই এই দিনটি মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয় এই দুই জেলায়।

১৯৭১ সালের এই দিনে সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে সাতক্ষীরা শহরে প্রবেশ করে। বিজয়ের উল্লাসে রাস্তায় নেমে আসে মুক্তিপাগল জনতা। 

স্বাধীতার ৪৯ বছর পরও সাতক্ষীরার বধ্যভূমিগুলো রয়ে গেছে অরক্ষিত। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারি বীর সেনানীদের স্মরণীয় করে রাখতে সাতক্ষীরা জেলা সদরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

এদিকে ১৯৭১ সালের এই দিনে মাইজদীর পিটিআই’তে রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটির পতনের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয় নোয়াখালী। ওড়ে স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজ পতাকা।

কোম্পনীগঞ্জের বামনী, তালমাহমুদের হাট, ১২ নং সুইচ গেইট, সদরের ওদারহাট, করমবক্স, বেগমগঞ্জের ফেনাকাটা পুল, রাজগঞ্জ, বগাদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।

নভেম্বর মাস থেকে মুক্তিসেনারা ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মুক্তিসেনাদের প্রবল আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে ৬ ডিসেম্বর গভীর রাত থেকে বিভিন্ন ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যেতে থাকে পাক আর্মি ও মিলিশিয়ারা। 

৭ ডিসেম্বর ভোররাত থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালীকে শত্রুমুক্ত করার চুড়ান্ত অপারেশন শুরু করেন। সকাল আটটার মধ্যেই বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাই স্কুলের রাজাকার ক্যাম্প, মাইজদী কোর্ট স্টেশন, জিলা স্কুল, দত্তের হাটের নাহার মঞ্জিল মুক্ত করেন মুক্তি সেনারা। 

দুপুরের দিকে রাজাকারদের প্রধান ও সর্বশোষ ঘাঁটি মাইজদীর পিটিআই চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। টানা কয়েক ঘন্টার যুদ্ধ শেষে এ ঘাঁটিরও পতন হয়। এ সময় ১০-১২ জন রাজাকার নিহত হয় এবং বহু রাজাকার ধরা পড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। 

এভাবেই এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় নোয়াখালী।
এএইচ/এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি