ঠাকুরগাঁওয়ে নেই শহীদ বুদ্ধিজীবী গোলাম মোস্তফার স্মৃতিস্তম্ভ
প্রকাশিত : ১৩:১৪, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
ঠাকুরগাঁওয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী গোলাম মোস্তফার নেই কোন স্মৃতিস্তম্ভ। জেলার অনেক বধ্যভূমিও সংরক্ষণের অভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মাণ হয়নি কোন ভাস্কর্য। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংস্কার করা হবে বধ্যভূমি, নির্মাণ করা হবে স্মৃতিস্তম্ভ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানী বাহিনী আর তাদের দোসররা ঘৃণ্য এক পরিকল্পনায় মেতে উঠে। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে হত্যা করে জাতির সূর্য সন্তানদের। সারাদেশেই চলে এই হত্যাযজ্ঞ। ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা করা হয় ভাষা সৈনিক গোলাম মোস্তফাকে।
১৯৯৮ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার নামে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তাঁর কবর সংরক্ষণে নেই কোন উদ্যোগ।
শহীদের স্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক- এতো কিছু সবাইকে দেয়া হয়েছে কিন্তু এই পরিবারকে দেয়া হয়নি। কারণ আমাদের পরিচয় তো জানাচ্ছে না, সেটা লোকাল থেকে যেতে হবে। ওখানে আমাদেরকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।
এছাড়া ঠাকুরগাঁও সদরের ফাড়াবাড়ী, ভামরাদহ ইউনিয়নের দেশিয়াপাড়ায় বধ্যভূমিও পড়ে আছে অযত্ন অবহেলায়। এরই মধ্যে বধ্যভূমিতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থাপনা।
সাবেক ডেপুডি কমান্ডার এমএ মান্নান বলেন, হরিপুর, ঠাকুরগাঁওসহ বিভিন্ন জায়গার কবরগুলো সংরক্ষণ করা হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জেলায় নেই কোন ভাস্কর্য।
জেলা প্রশাসন বলছে, গোলাম মোস্তফা স্মৃতি সংরক্ষণসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, সুন্দর স্থাপত্য নকশায় আমরা এই বধ্যভূমিগুলোর সংস্কার করবো। মুক্তিযুদ্ধে তাদের যে অবদান তা তুলে ধরার ব্যবস্থা করবো। একইসঙ্গে বুদ্ধিজীবী গোলাম মোস্তফার পরিবার এবং তার সমাধী সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি।
স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ বধ্যভূমি চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণে কার্যকর উদ্যোগের দাবি ঠাকুরগাঁওবাসীর।
এএইচ/এসএ/