ভিডিও দেখুন
আজও সংরক্ষণ হয়নি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক স্থাপনা
প্রকাশিত : ১২:১৬, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৪:১২, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ঐতিহাসিক সোহরাওয়াদী উদ্যান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানেই ৭ মার্চের ভাষণ প্রদান করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বার পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই উদ্যানেই আত্মসমর্পণ করে মিত্রবাহিনীর কাছে।
১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দীতে অনুষ্ঠিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বক্তব্য রাখেন। তবে সেই সব ঐতিহাসিক স্থান চিহ্নিত করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক এসব স্থাপনাসমূহ সংরক্ষণের জন্য আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয় ২০০৯ সালের ২৬ জুন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শফিউলল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন এ রিট আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ঐতিহাসিক এই স্থাপনা সংরক্ষণের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি ১০ বছরেও। ঐতিহাসিক এই উদ্যানের ৭টি স্থান সংরক্ষণ ও অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশনারও বাস্তবায়ন নেই। এতে হতাশা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ ও রিটকারী অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
তিনি বলেন, ‘উদ্যান সম্পর্কে বিচার খায়রুল হক যে রায় দিয়েছিলেন তা কখনোই কার্যকর হয়নি। এখন সেখানে দখল-বেদখল চলছে, এটা মনিটরিং করবে কে?’
একই বছরের ৮ জুলাই সরকারের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে একটি রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। একটি কমিটির মাধ্যমে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতি সৌধ স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে এ-রায়ে।
রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আজকে এগার বছর পরেও আমরা দেখছি যে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের জায়গা এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। বিজয় দিবসের যে জায়গাটায় পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল সংরক্ষণের জন্য কোন কমিটি গঠন করা হয়নি।’
নির্দেশিত জায়গাগুলো চিহ্নিত করা এবং সংরক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠনের ব্যাপারেও আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সাথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে অবস্থিত ঐতিহাসিক নয় এমন স্থাপনাগুলো সরিয়ে ফেলার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল। তবে হাইকোর্টের আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন নেই বলে জানান রিটকারীর আইনজীবী।
তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য যখন নোটিস পাঠিয়েছিলাম তখন বলা হয়েছিল এটি একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে উপর লেভেলে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি আসলে বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে অনুমতির বিষয়টির ব্যাপারে কোন তথ্য নেই।’
এর আগে আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় আবস্থিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম, শিশুপার্ক এবং একটি মার্কেট সরিয়ে নিতে হতে পারে।
দেখুন ভিডিও :
এআই/এসএ/