ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুস সালামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বাংলাদেশ অবজারভারের সাবেক সম্পাদক আবদুস সালামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ইংরেজি সাংবাদিকতার কিংবদন্তি এই সাংবাদিক ১৯৭৭ সালের এ দিনে ঢাকায় মারা যান। আবদুস সালাম ১৯১০ সালের ২ আগস্ট ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ ধর্মপুর গ্রামের মুন্সিবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত আবদুস সালাম ভাষা আন্দোলনে প্রথম কারাবরণকারী সম্পাদক, পাকিস্তান সম্পাদক পরিষদের সভাপতি, সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম স্থান অর্জন করে এমএ পাস করেন আবদুস সালাম। বাঙালি অফিসারদের নিপীড়নের প্রতিবাদে ১৯৪৯ সালে সরকারি উচ্চপদস্থ চাকরি ছেড়ে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৫০ সালে সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পত্রিকাটির লেখালেখিতে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষা করায় মুসলিম লীগ সরকার ১৯৫২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কাগজটি নিষিদ্ধ করে। পরের দিন আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এলে পত্রিকাটি পুনঃপ্রকাশিত হয়। আবদুস সালামই এর সম্পাদক থেকে যান। যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে তিনি ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। পাকিস্তান সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭২ সালে সরকারের সঙ্গে তার মতবিরোধ হওয়ায় তিনি অবজারভার ছাড়তে বাধ্য হন। ১৯৭৬ সালে তার পরামর্শে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন এবং আবদুস সালাম মহাপরিচালক নিযুক্ত হন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডির বাসভবনে মিলাদ মাহফিল ও কোরআনখানির আয়োজন করা হয়েছে। আবদুস সালাম স্মৃতি সংসদ ও পরিবারের উদ্যোগে সকালে বনানীতে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্মরণসভার কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। তবে আবদুস সালাম স্মারকগ্রন্থের প্রস্তুতির কাজ চলছে।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি