ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আজ কবি রফিক আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০১, ১২ মার্চ ২০২১

সমকালীন বাংলা ভাষার অন্যতম কবি রফিক আজাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৬ সালের আজকের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান একুশে পদকপ্রাপ্ত এই কবি ও মুক্তিযোদ্ধা।

‘ভাত দে হারামজাদা, তা-না হ’লে মানচিত্র খাবো’- এই কবিতার মধ্য দিয়ে বাঙালির চেতনায় দ্রোহের আগুন জ্বেলেছিলেন কবি রফিক আজাদ। শুধু তাই নয়; কবিতার পঙ্‌ক্তিতে তিনি গেয়েছেন মানুষের জয়গান। মানবতার পাশাপাশি শাশ্বত প্রেমের কথাও ফুটে উঠেছিল তার কবিতায়। 

কবি রফিক আজাদ ১৯৪২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের গুণীগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সলিম উদ্দিন খান ছিলেন একজন সমাজসেবক এবং মা রাবেয়া খান গৃহিণী। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। রফিক আজাদ ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির মাসিক সাহিত্য পত্রিকা উত্তরাধিকারের সম্পাদক ছিলেন। ‘রোববার’ পত্রিকায় নিজের নাম উহ্য রেখে সম্পাদনার কাজ করেছেন তিনি। টাঙ্গাইলের মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের বাংলার লেকচারার ছিলেন। এই কবি দেশের মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। রণাঙ্গনের যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন।

ষাটের দশকের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে পরিচিত রফিক আজাদের প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- অসম্ভবের পায়ে, সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজে, চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া, পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি, বর্ষণে আনন্দে যাও মানুষের কাছে, বিরিশিরি পর্ব, হৃদয়ের কী বা দোষ, কোনো খেদ নেই, সশস্ত্র সুন্দর, হাতুড়ির নিচে জীবন, পরিকীর্ণ পানশালায় আমার স্বদেশ, প্রিয় শাড়িগুলো ইত্যাদি।

সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রফিক আজাদ ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিতে ১৯৯৭ সালে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা অর্জন করেন। আর ২০১৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি