কারাগারই যেনো ছিলো বঙ্গবন্ধুর বাড়ি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২০, ২২ মার্চ ২০২১
পরাধীনতার গ্লানি থেকে বাঙালিকে মুক্তি দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার জন্য জীবনের ১৪টি বছর বিভিন্ন মেয়াদে কারাবরণ করেন। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে ৫৪ বছরের জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন বঙ্গবন্ধু। করাগারে বসেই তৈরি করেন স্বাধীন বাংলাদেশের পথনকশা। বঙ্গমাতার অনুপ্রেরণায় ‘কারাগারের রোজ নামচা’ গ্রন্থে জাতির পিতা লিখেন তাঁর জেল জীবনের কথা।
ছোটেবেলা থেকেই প্রতিবাদী, বিপ্লবী। স্কুল জীবনেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৭ দিনের কারাভোগ।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর স্বপ্নভঙ্গ, বঙ্গবন্ধুও বুঝে গিয়েছিলেন। ভাষা সংস্কৃতির বিরুদ্ধেই প্রথম আঘাত, রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৮ ও ৪৯ সালে কয়েক দফা কারাবরণ করেন বঙ্গবন্ধু।
১৯৫০ থেকে টানা ৭৮৭ দিন বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে আটকে রাখে পাকিস্তানি শাসকেরা। চুয়ান্নতে ২০৬ দিন কারাভোগ।
কারাগারই যেনো ছিলো বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। সবশেষ ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই হানাদাররা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে যায়। জাতির পিতাকে কারাগারে বন্দি রাখলেও তাঁর স্বপ্ন, চেতনা আদর্শকে বন্দি করা যায়নি। জেলে বসেই তিনি তৈরি করেন স্বাধীন বাংলাদেশের পথনকশা।
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, পূর্ব বাংলায় স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন করেছিলেন। ভোগ মিছিল করেছেন পুরান ঢাকার সদরঘাট থেকে চকবাজার পর্যন্ত। নানা কারণে তাঁকে বার বার জেলে নেয়া হয়েছে। যতদূর মনে হয়, টানা সবচেয়ে বেশিবার জেল খেটেছেন ৬৬ সালে ছয়দফা দেয়ার পর।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার অনুপ্রেরণায় জাতির পিতা লিখেছেন তাঁর জেল জীবনের কথা।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে তাঁর ক্ষেত্রে। কারণ তিনি সেইখানে বসেই কারাগারের রোজনামচা লিখেছেন, আমার দেখা নয় দিন লিখেছেন এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী লিখেছেন। যেটি শুধুমাত্র তাঁর জীবনকাহিনী নয়, তাঁর সংগ্রামের কাহিনী নয়। সেই সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেরও এক গৌরবময় ইতিহাসের উপাদান সেখানে আছে।
জাতির পিতার ত্যাগ, দূরদর্শিতা এবং আপসহীন নেতৃত্ব সাহস যুগিয়েছে বাঙালিকে। পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করলেন বাঙালিকে। এনে দিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ উদযাপন করছে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/