মেহেরপুরকে ঘিরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নানা স্থাপনা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২২, ১৭ এপ্রিল ২০২১
স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে থাকা অনন্য নাম মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার আম্রকানন। ঐতিহাসিক স্থানটিকে গুরুত্ব দিয়ে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধসহ নানা স্থাপনা।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ হবে। গ্রামবাসীর সহায়তায় বর্তমান মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে কয়েকটি চৌকি এনে মঞ্চ তৈরি করা হয়। আসেন জাতীয় চার নেতা। সাথে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক।
শপথ নেন জাতীয় চার নেতা। ১২ আনসার সদস্য গার্ড অব অনার প্রদান করেন। শপথ অনুষ্ঠানের পর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেয় মুজিবনগর।
গার্ড অব অনার প্রদানকারী আনসার সদস্য আজিমদ্দীন শেখ বলেন, ক্যাম্পে কিছু চার পায়া খাট ছিল, আর গ্রাম থেকে কিছু নিয়ে আমরা ওখানে একটা মঞ্চ তৈরি করি।
গার্ড অব অনার প্রদানকারী আরেক আনসার সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওখানে আরও চারটি ভাস্কর্য তৈরি হোক এবং আমরা ১২জন সহ এসপি মাহবুব, সৈয়দ নজরুল ইসলাম- সবার নাম ওখানে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাক।
মুজিবনগরের ইতিহাস সংরক্ষণ ও তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে নির্মিত হয়েছে স্মৃতি কমপ্লেক্স। ১১ সিঁড়ি ও ২৩ স্তম্ভের স্মৃতিসৌধ ছাড়াও নির্মাণ হয়েছে বিশাল মানচিত্রে ৯ মাস যুদ্ধের বিভিন্ন দৃশ্য। পাশে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, আনসার সদস্যদের গার্ড অব অনার প্রদান, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, সেক্টর কমান্ডারদের বৈঠকসহ বিভিন্ন সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের দৃশ্য।
স্থানীয়রা জানান, প্রত্যেক বারই এই অনুষ্ঠানটিকে জাঁকজমকভাবে পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটাকে আমরা খুব ভীষণভাবে মিস করবো।
করোনা পরিস্থিতিতে মুজিবনগর দিবসে এবার নেই কোনো জমকালো আয়োজন।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মনসুর আলম খান বলেন, গতবছর থেকে বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সেই উৎসবে একটু ভাটা পড়েছে।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন বলেন, সেই উৎসবমুখর পরিবেশ যেন ফিরে আসে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করে।
একদিন অন্ধকার কেটে যাবে। দিনটিতে রাষ্ট্রীয় মূল অনুষ্ঠান পালন হবে মুজিবনগরের আম্রকাননে- এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
ভিডিও-
এএইচ/