কবি ও গীতিকার রজনীকান্ত সেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ১২:১৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১২:১৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
সাহিত্য সাধনা এবং আরাধনামূলক অসাধারণ সঙ্গীত সৃষ্টিকারী কবি ও সুরকার রজনীকান্ত সেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে কলকাতা মেডিকেল কলেজের কটেজ ওয়ার্ডে ১৯১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি। প্রখ্যাত কবি, গীতিকার এবং সুরকার হিসেবে তিনি বাঙালি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
রজনীকান্ত সেন ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুলাই তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার পাবনা জেলাধীন সিরাজগঞ্জ মহকুমার বেলকুচি উপজেলার (বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলা) সেনভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গানের প্রধান বৈশিষ্ট্য ও উপজীব্য বিষয় হচ্ছে- ভক্তিমূলক ও দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ বা স্বদেশ প্রেম।
শৈশবে রজনীকান্ত খুবই দুষ্টুপ্রকৃতির অধিকারী ছিলেন। সদা-সর্বদা খেলাধূলায় ব্যস্ত থাকতেন তিনি। পড়াশোনার পেছনে সময় ব্যয় করতেন খুবই কম। তবে পরীক্ষায় আশাতীত ফলাফল অর্জন করতেন। পরবর্তীকালে এবিষয়গুলো তিনি তার দিনপঞ্জী বা ডায়রীতে উল্লেখ করেছেন।
বিদ্যালয় অবকাশকালীন সময়ে প্রতিবেশীর গৃহে সময় ব্যয় করতেন। সেখানে রাজনাথ তারকরত্ন মহাশয়ের কাছ থেকে সংস্কৃত ভাষা শিখতেন। এছাড়াও, গোপাল চন্দ্র লাহিড়ীকে তিনি তার শিক্ষাগুরু হিসেবে পেয়েছিলেন।
১৫ বছর বয়সে কালীসঙ্গীত রচনার মাধ্যমে তার অপূর্ব কবিত্বশক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তিনি আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন। তবে ওকালতি পেশায় গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট ও সন্তুষ্ট হতে পারেননি তাকে। এ সময় থেকে মৃত্যুর প্রায় এক বৎসর পূর্ব পর্যন্ত রজনীকান্তের জীবন এক অখণ্ড আনন্দের খনি ছিল। তার সঙ্গীত-প্রতিভাই তাকে অমর করে রেখেছে। সঙ্গীত-রচনা করা তার পক্ষে এমনই সহজ ও স্বাভাবিক ছিল যে, তিনি অবহেলায় উপেক্ষায় অতি উৎকৃষ্ট সঙ্গীত রচনা করতে পারতেন।
ক্যান্সারের মতো দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েও ঈশ্বরের প্রতি নিজেকে সমর্পণ করে দিয়ে যেসব অশ্রুতপূর্ব গান রচনা, সেগুলোই ছিল তাঁর শেষ দিনগুলোর অনিঃশেষ প্রাণশক্তির উৎস।
এসএ/