মোংলা ও সুন্দরবন মুক্ত হয় ৭ ডিসেম্বর
প্রকাশিত : ১৫:১৯, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে মোংলা ও সুন্দরবন এলাকা মুক্ত করেছেন এ অঞ্চলের বীর মুক্তি সেনারা।
মোংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, “৯নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল। সাব সেক্টর কমান্ডার মরহুম মেজর (অবঃ) জিয়া উদ্দিন আহমদ ও কবির আহমেদ মধুর নেতৃত্বে এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা সুন্দরবনে ৫টি ক্যাম্প স্থাপন করে। সেখান থেকে ৪ ডিসেম্বার মোংলায় প্রবেশ করলে পাক সেনাদের সঙ্গে খন্ড খন্ড সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয় মুক্তি যোদ্ধাদের।”
৬ ডিসেম্বার মোংলা, মোড়লগঞ্জ, রামপাল, শরনখোলা উপজেলা থেকে পালিয়ে যায় পাক সেনারা। সেনা কর্মকতার্দের তত্ত্বাবধয়ানে এই সুন্দরবনের ক্যাম্পগুলোতে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। আর সুবিধা বুঝে আক্রমন করা হতো মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন এলাকার পাকবাহিনীর ক্যাম্পগুলোতে। এছাড়া বিভিন্ন বয়সের লোকজনকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য উদ্ভুদ্ধ করতো এখানকার বীর সেনারা।
৭ ডিসেম্বার এই দিনে মোংলা ও সুন্দরবনের সর্বত্র মুক্তি যোদ্ধাদের দখলে চলে আসে। এই দিন মুক্ত হয় সুন্দরবন ও মোংলাসহ এর আশপাশ এলাকা।
এসএ/