রক্তগঙ্গার বুক চিরে ১৬ ডিসেম্বর ওঠে স্বাধীনতার সূর্য (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৪৯, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১
রাইফেল-কামানসহ কোনো মারণাস্ত্র দিয়েই দাবিয়ে রাখা যায়নি বাঙালিকে। রক্তগঙ্গার বুক চিরে ১৬ই ডিসেম্বর উদয় হয় কাঙ্ক্ষিত মানচিত্র। মুক্তির পর বাঙালির স্বাধীনতা পেরুলো ৫০ বছরে।
নিরস্ত্র বাঙালির উপর পাকিস্তানি হায়েনার নির্মমতায় অন্ধকার নেমে আসে। বীরের মতো বাঁচার হুঙ্কারে সর্বশেষ গর্জে ওঠে দেশ, বাঙালি জনতা পরাস্ত করে পাকিস্তানী জান্তা আর এদেশীয় দোসরদের।
রক্তগঙ্গার বুক চিরে ১৬ ডিসেম্বর ওঠে স্বাধীনতার সূর্য। চেতনার বিজয় নিশান ওরে বাংলার ঘরে ঘরে। মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানের সশস্ত্র জান্তার দল।
স্বাধীন দেশের আজ ৫০ বছর। সমৃদ্ধির আলোয় উদ্ভাসিত এদেশকে অনন্য রাষ্ট্র হিসেবে জানে বিশ্ববাসী।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু যে আদর্শের জন্য জীবনপাত করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শকে ফিরিয়ে আনার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। সেই প্রতিজ্ঞা এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে, যাতে কোনভাবেই যেন পাকিস্তানের ভূত আমাদের ঘাড়ে চেপে না বসতে পারে।
যে মাটি বীরের রক্তে হয়েছিল রঞ্জিত, যে দেশের প্রকৃতি কেঁদেছিল বীরাঙ্গনার আর্তনাদে। পবিত্র সেই বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কথা বলে ভিন্ন রাষ্ট্রে, অন্য দেশে।
শিক্ষাবিদ আরও বলেন, সমাজতন্ত্র অভিনবমুখি যদি না থাকে তাহলে আমাদের গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা কিছুই স্বার্থক হবে বলে আমি মনে করি না। স্বাধীনতা আমাদের জন্য অনেক দায়িত্ব দিয়েছে, সেটা হলো মুক্তির দায়িত্ব। সেই মুক্তির সংগ্রাম কখনও শেষ হয় না।
এ দেশের উন্নয়ন যেমন আশার সমান বড়, তেমনি তারুণ্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঘাটতি নিরাশ করে বুদ্ধিজীবীদের। তারপরও প্রত্যাশিত আদর্শ বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেন শিক্ষাবিদ যতীন সরকারের মতো দার্শনিকরা।
অধ্যাপক যতীন সরকার বলেন, তরুণ প্রজন্ম এমন একটা সাংস্কৃতিক আন্দোলন শুরু করবে, যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন পাকিস্তানের আমলের চেয়ে অনেক বেশি বেগবান হয়ে উঠবে।
এএইচ/