ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলা ব্যবহারে উদাসীনতার প্রতিবাদে মাঠে মুক্তিযোদ্ধারা (ভিডিও)

শিউলি শবনম

প্রকাশিত : ১১:৫৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১১:৫৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পরও চালু হয়নি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রয়োগ। বাংলাভাষা ব্যবহার সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও এখনও সব ক্ষেত্রে নিশ্চিত করা যায়নি রাষ্ট্রভাষার ব্যবহার। প্রতিবাদে এবার চট্টগ্রামে মাঠে নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

নামফলক, সাইনবোর্ড দেখে বিদেশের কোনো সড়কে এসে পড়েছি মনে হলেও এটি চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ের একটি চিত্র। নগরীর অলি-গলি থেকে শুরু করে সর্বত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেস্টুরেন্টের নামফলক, সাইনবোর্ডে সব জায়গায় এমন ইংরেজি, আরবিসহ বিভিন্ন ভাষার আধিক্য চোখে পড়ে।

বাংলা ভাষা ব্যবহারে এই উদাসীনতার প্রতিবাদে গত তিন বছর ধরে সড়কে নেমে প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। ‘বাংলা প্রচলন উদ্যোগ’ এর ব্যানারে মানববন্ধন, ইংরেজি নামফলকে কালি ছিটানোসহ সরব প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন তারা। 

এমন নামফলক নিবন্ধন দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নাম নিবন্ধনের সাথে জড়িতদের দায়ী করছেন তারা। 

মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী আবুল হাশেম বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি সর্ব জায়গায় বাংলা ভাষার প্রচলন হোক।’

মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী ইব্রাহীম হোসেন বাবুল বলেন, ‘বাংলা বুঝতে না পারলে আমি তো কোন কিছু প্রকাশ করতে পারবো না।’

চট্টগ্রাম বাংলা প্রচলন উদ্যোগের আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নামফলকগুলো বাংলায় আসুক এবং পরবর্তীকালে সর্বস্তরে শিক্ষার মাধ্যম বাংলা, একমুখী, গণমুখী, প্রাথমিকে বাধ্যতামূলক শিক্ষা- এই জিনিসগুলো বাস্তবায়নের জন্য আমরা মাঠে থাকবো।’

মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও ঔপনিবেশিক মানসিকতার কারণে এখনো সব স্তরে বাংলা প্রচলন করা যায়নি।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র মহাসচিব ফাহিম উদ্দীন বলেন, ‘অনেক সাইনবোর্ড আছে এখনও ইংরেজিতে। এতে মনে হচ্ছে এই জিনিসটা ঠিক হচ্ছে না।’

মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতি কর্মী দেওয়ান মাকসুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭৫ সালে এটা আইন করেছিলেন কিন্তু আমলাতান্ত্রিক ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি ধারার শাসন ব্যবস্থা এমন আষ্টেপৃষ্টে আছে যাতে বাংলা ভাষার প্রয়োগটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’

বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেখানে উচ্চ শিক্ষাসহ সর্বস্তরে নিজ মাতৃভাষা চর্চা অব্যাহত রেখেছে সেখানে ভাষার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেয়া বাংলাদেশের এমন ভিন্ন চিত্র দুর্ভাগ্য ও লজ্জাজনক বলছেন তারা। বাংলা ভাষা প্রচলন আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া গেলে বাংলা প্রচলন হবে বলে মনে করেন এই গবেষক। 

ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ভাষা আইনে আছে যে ইংরেজিতে কোন আবেদন যদি কেউ করেন এবং সেই আবেদন যে কর্মকর্তা গ্রহণ করবেন, তিনি সরকারি কর্মচারী বিধি অনুযায়ী শাস্তির আওতায় পড়বেন।’

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি