অপরিহার্য হয়ে উঠল মুক্তিযুদ্ধ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২০, ৬ মার্চ ২০২২
একদিকে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত, অন্যদিকে শুরু পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ। ফলে রাজনৈতিকভাবে দাবি আদায়ের আর কোনো পথই খোলা থাকল না। মুক্তিকামী বাঙালির জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠল মুক্তিযুদ্ধ।
১ মার্চ বেতার ভাষণে জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাফ জানিয়ে দিলেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের কথা। বিক্ষোভে ফেটে পড়ল বাঙালি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, “১ মার্চ হিয়াহিয়া খান ঘোষণা দিয়ে অধিবেশন বন্ধ করে দিল। সেই দুপুর ১টায় মুহূর্তের মধ্যে দেশ বিস্ফোরণমুখ অবস্থায় চলে গেল।”
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে মানুষ হত্যা শুরু করে পাকবাহিনী। হানাদারদের সঙ্গে যোগ দেয় কিছু অবাঙালি। মার্চের প্রথম সপ্তাহে শুধু চট্টগ্রামেই হত্যা করা হয় ২২২ নিরস্ত্র বাঙালিকে। প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দেশ।
এরই মধ্যে আলোচনায় বসার প্রস্তাব পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধু বলেন, আগে সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে। বিচার করতে হবে নিরস্ত্র মানুষ হত্যার।
বঙ্গন্ধুর বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ধীরে ধীরে মুক্তিকামি মানুষের আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিতে থাকে। একেরপর এক পাকিস্তানিদের কূটুচাল, হিংস্রাত্মক হয়ে উঠার মুখে বঙ্গবন্ধু যখন সাত কোটি মানুষকে ঐকবদ্ধ করে তুলেন তখন শেষ ছোঁবল দেয় হায়েনারা।
২৫ মার্চ কালোরাতির প্রতিরোধের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ।
এএইচ/