ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

একুশে টেলিভিশনের ২৩ বছরে পদার্পণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:১৬, ১৪ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ০০:৩০, ১৪ এপ্রিল ২০২২

‘পরিবর্তনে অঙ্গিকারবদ্ধ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আর সৃজনশীল অনুষ্ঠান প্রচারের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় বেসরকারি চ্যানেল একুশে টেলিভিশন ২৩ বছরে পদার্পণ করলো। 

জন্মদিনের প্রথম প্রহরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিচালক (জনসংযোগ) কে এম শহিদ উল্লাহ। 

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন একুশে টেলিভিশনের হেড অব নিউজ রাশেদ চৌধুরী, চিফ প্ল্যানিং এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর বিপ্লব কুমার পাল, সিএনই ড. অখিল পোদ্দার, প্রশাসন ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) নাসিম হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

জন্মদিনের এই শুভক্ষণকে স্মরণ করে একুশে টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও প্রধান নির্বাহী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে মুক্ত চিন্তার খোলা জানালা।’ একুশের এই চেতনা লালন করে ২৩ বছরে পা রাখলো প্রতিষ্ঠানটি। জন্মদিনের প্রথম প্রহরে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন অতিথিরা। এই শুভক্ষণকে আরো রঙ্গিন করতে একে একে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন শুভানুধ্যায়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয় একুশে পরিবার।

বর্ণিল এ আয়োজনে কেক কেটে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমার প্রিয় এ গণমাধ্যম বাইশ পেরিয়ে ২৩শে পদার্পণ করল। একুশ আমাদের বাঙালীর পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখছি এবং এ জন্য গর্ববোধ করি। একুশে যে উদ্যমে এগিয়ে চলেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

সবার ভালোবাসা ও সহযোগিতায় একুশে টেলিভিশন দর্শকদের মাঝে দৃঢ় অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং সৃজনশীল ও বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান প্রচারের মধ্যদিয়ে একুশে টেলিভিশন আজ সুস্থ ধারার বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই চলমান সাফল্যের পেছনে রয়েছে একুশে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের নিষ্ঠা, নিরলস প্রচেষ্টা, সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশ-মাটি-মানুষের মুখপাত্র রূপে এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

দর্শক, শিল্পী, কলাকুশলী, বিজ্ঞাপনদাতা, কেবল অপারেটরসহ সকল শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানিয়ে তিনি সবাইকে সাথে নিয়ে একুশেকে দেশীয় সংস্কৃতির বাহন হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। 

একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নববর্ষের প্রথম দিনে বাইশ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল গণমানুষের সম্প্রচারমাধ্যম একুশে টেলিভিশন। পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ একুশের দৃপ্ত শপথ ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ দেশ গড়া। আমাদের প্রত্যয় দূর করেছে জীর্ণতা, অবক্ষয় আর কুসংস্কার। আগামী দিনেও নবজাগৃতির নন্দিত বাংলাদেশের ছবি আঁকবে একুশের ক্যানভাস। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভক্ষণে প্রীতি ও শুভেচ্ছার মাধ্যমে অগণিত দর্শক, বিজ্ঞাপনদাতা, কলাকুশলী, কেবল অপারেটরদের জানাই নিরন্তর ভালোবাসা।   

তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ কিছুটা স্থিমিত হলেও একেবারে ম্লান হয়নি। অপরাপর দেশগুলোর অর্থনৈতিক দাঙ্গা বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে। দ্রুত অগ্রসরমান এ দেশের বিরুদ্ধে চলছে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এমন প্রেক্ষাপটে মহান মুক্তিযুদ্ধের দর্শন, জাতির পিতা শেখ মুজিবের আদর্শ ধারণ করে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দিগ্বিদিক ছুটে চলবে বলবান একুশের অনিরুদ্ধ দল। নবোদ্যমে নবজাগরণের সাক্ষী হবে গণমানুষের ভালোবাসায় ঋদ্ধ একুশে টেলিভিশন। আশাকরি, চলমান জাতীয় উন্নয়নের সারথি হিসেবে একুশে তার স্বকীয়তা ছড়াবে ফিনিক্স পাখির মতো-স্বমহিমায়। একুশে টেলিভিশনের জন্মদিনে সবাইকে বাংলা নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা।

সাহসী সংবাদ ও জনপ্রিয় বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে চ্যানেলটি পছন্দের শীর্ষে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া বিশিষ্টজনেরা।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি