দেশে পালিত হচ্ছে ‘গৃহশ্রমিক দিবস’
প্রকাশিত : ১২:৩০, ১৬ জুন ২০২২
আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস ১৬ জুন (বৃহস্পতিবার)। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি বেসরকারিভাবে পালিত হচ্ছে।
আর্ন্তজাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও) ২০১১ সালে গৃহকর্মীদের কাজকে শ্রমিকের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কনভেনশন ১৮৯ প্রকাশ করে এবং ১৬ জুন তারিখটিকে আর্ন্তজাতিক গৃহশ্রমিক দিবস হিসাবে বিশ্বজুড়ে পালন করতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৫টি দেশে এই কনভেনশনটি গৃহীত হয়েছে। দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে কাজ করা গৃহশ্রমিকদের জন্য শোভন কাজ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন বা সনদটি বাংলাদেশ এ পর্যন্ত অনুসমর্থন করেনি।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সমীক্ষা বলছে, গত বছর ৩৮ জন গৃহকর্মী ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। তাদের মধ্যে ১২ জন নিহত হন, আত্মহত্যা করেন দুজন। আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৪৪ জন গৃহশ্রমিক, যাঁদের মধ্যে ২০ জন নিহত হয়েছিলেন। আর চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার ১২ জনের মধ্যে নিহত হয়েছেন তিনজন।
গৃহশ্রমিকদের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিলসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বলছে, সংখ্যাটি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। গত বছর করা বিলসের জরিপ বলছে, ঢাকাসহ সারা দেশে যাঁরা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন, তাঁদের ৯৫ ভাগের বেশি নারী ও মেয়েশিশু। নিয়োগকারীর সঙ্গে ৯৯ শতাংশের বেশি গৃহশ্রমিকের কোনো লিখিত চুক্তি নেই। করোনাকালে ২৮ দশমিক ২ শতাংশ গৃহশ্রমিকের মজুরি কমেছে।
আর্ন্তজাতিক শ্রম সংগঠনের কনভেনশন-এ যে বিষয়গুলির উল্লেখ রয়েছে– কাজের জায়গায় সম্মানজনক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, গৃহশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি থাকবে, তাদের দল তৈরি, জোট বাঁধা, ইউনিয়ন তৈরির অধিকার থাকবে, মালিক অর্থাৎ নিয়োগকারী ও শ্রমিকদের মধ্যে একটি চুক্তিপত্র থাকবে, নির্দিষ্ট ছুটি নির্ধারিত থাকবে, কাউকে যেন জোর করে গৃহশ্রমিকের কাজে নিয়োগ না করা হয়, গৃহশ্রমিক হিসাবে যেন শিশুশ্রমিক না থাকে, এক মাস অন্তর যেন বেতনের ব্যবস্থা থাকে, যৌন হেনস্থার মতো ঘটনা প্রতিরোধের যেন ব্যবস্থা থাকে ইত্যাদি।
এসএ/