ক্ষয় হচ্ছে ওজোনস্তর, পৃথিবীতে চলে আসছে অতিবেগুনি রশ্মি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিশ্বজুড়ে বন উজাড়ের পাশাপাশি শিল্প-কারখানায় বাড়ছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। দিন দিন ক্ষয় হচ্ছে বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে আসছে পৃথিবীতে। শিল্পোন্নত দেশগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা না রাখলে গোটা প্রাণীজগৎ হুমকিতে পড়বে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলো।
কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে সকাল-সন্ধ্যা চলছে হাজারো যানবাহন। তৈরি হচ্ছে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি গ্যাস। এছাড়া বিশ্বজুড়ে বন উজাড়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, এয়ারকন্ডিশনার-সহ নানা ধরনের স্প্রে থেকে সৃষ্ট সিএফসি বায়ুমণ্ডলে মিশে পাতলা করছে ওজোনস্তর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি মাত্রারিক্ত পর্যায়ে চলে আসছে পৃথিবীতে। ত্বকের ক্যান্সার, দৃষ্টিহীনতার মতো নানা ব্যধির পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষতি করছে এই অতিবেগুণী রশ্মি। এমন বাস্তবতায় ওজোনস্তরের ক্ষয় ঠেকানো না গেলে গোটা প্রাণীজগৎ হুমকিতে পড়বে বলে শঙ্কা তাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারপার্সন নাসরিন রফিক বলেন, "ওজন লেয়ারের কারণে এটা ভেদ করে টেম্পারেচার ওপরের দিকে চলে যেতে পারছেনা, আটকে থাকছে, এসব কারণে ওজন রেযার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফসল, জীবজগত এবং বনাঞ্চলেও এর প্রভাব পড়ে।"
১৯৮৭ সালে ওজোনস্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করতে ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় একটি প্রটোকল গ্রহণ করা হয়। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশও এই প্রটোকলে স্বাক্ষর করে।
তবে এই প্রটোকল অনুসরণ বা পরিপালনে শিল্পোন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি, বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এবিষয়ে নাসরিন রফিক বলেন, "অতিরিক্ত কলকারখান ও যানবাহনের কারণে কালো ধোয়া বাড়ছে, এর কারণে পরিবেশ গরম হয়ে তা ওজন স্তর পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। সেজন্য এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেমন অতিরিক্ত এসি, রেফ্রিজারেটর কিংবা অতিরিক্ত এরোসলও ব্যবহার করা যাবেনা।"
তবে শিল্পোয়নে পথে থাকা বাংলাদেশকেও সিএফসি গ্যাস ও কার্বন নিঃসরণ রোধে সজাগ থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞরদের।
এসবি/