ঢাকা, রবিবার   ১০ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় পাট দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৬, ৬ মার্চ ২০২৩

‘পাট শিল্পের অবদান স্মার্ট-বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সোমবার (৬ মার্চ) পালিত হচ্ছে জাতীয় পাট দিবস। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং মতিঝিলস্থ করিম চেম্বারে বহুমুখী পাটপণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হবে।

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

পাটের সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি বিবেচনায় ২০১৬ সালে প্রতি বছর ৬ মার্চ জাতীয়ভাবে পাট দিবস আয়োজনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরের বছর থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

পাটশিল্পের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।

‘জাতীয় পাট দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি আশা করি, এ উদ্যোগ পাট খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে।”

আবদুল হামিদ বলেন, “সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে মানানসই পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে-বিদেশে পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিকল্প প্রাকৃতিক তন্তু পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।”

তিনি বলেন, “আধুনিকায়ন ও বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে পাটের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকারের নানাবিধ উদ্যোগের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি পাট চাষসহ পাট খাতের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও সুরক্ষার লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এবং ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩’, ‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘চারকোল নীতিমালা, ২০২২’ প্রণয়ন করা হয়েছে।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “পাটশিল্পের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়া সম্ভব। এবারের জাতীয় পাট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পাট শিল্পের অবদান - স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথাযথ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।”

রাষ্ট্রপতি পাটশিল্প বিকাশের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে এবং দেশের বাইরে এসব পণ্যের বাজারজাতকরণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি প্রত্যাশা করেন, সজীব ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ার পথ পরিক্রমায় পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে এবং পাটশিল্পের উন্নয়নে সব সরকারি-বেসরকারি অংশীজনের সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি