হানাদার বাহিনীর চরম পরাজয়, আত্মসমর্পণ শুরু (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০৭, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর চরম পরাজয়ের দিন আজ। এ’দিনে যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি বাহিনী। গেরিলা যোদ্ধাদের পরিকল্পিত আক্রমণ এবং মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর বীরোচিত ভূমিকায় মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যায় বর্বর পাকিস্তানিদের। অজস্র বর্বরতা আর নারী নির্যাতন-ধর্ষণের কারণেও নৈতিক পতন ঘটে হানাদারদের।
রণাঙ্গণে ক্রমেই কোণঠাসা পাকিস্তানী বাহিনীর পরাজয় তখন কেবলই সময়ের ব্যাপার। ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যে তীব্র স্পৃহার জন্ম দেয় তাতেই দূর্বার হয়ে উঠে মিত্রবাহিনী। একে একে পতন ঘটতে থাকে যশোর-সিলেটসহ শক্তিশালি ঘাঁটিগুলোর।
মিত্রবাহিনী প্রথমে দখল করে যশোর বিমানবন্দর। পরে যৌথবাহিনী ক্যান্টনমেন্টের দিকে এগিয়ে গেলে আড়াইশ’ সেনাসদস্য আত্মসর্মপণ করে, বাকিরা পালিয়ে যায়। দীর্ঘ নয় মাস নির্মম হত্যাকান্ড আর পৈশাচিকতার কারণে মনোবল হারিয়ে খাদের কিনারে পাকিস্তান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী জহির রায়হানের সন্তান অনল রায়হান বলেন, “যশোর ক্যান্টনমেন্ট হচ্ছে পাকিস্তানীদের শক্তিশালী বড় ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে একটা। পাকিস্তানী বাহিনী ধারণাই করতে পারেনি এই ভাবে বিনাযুদ্ধে যশোর ক্যান্টনমেন্টের পতন হবে।”
পরিকল্পিত আক্রমণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিসেনাদের অভিযানে পাকিস্তানী সেনারা কোথাও অবরুদ্ধ, কোথাও পালাবার পথ নেই। হয় আত্মসর্মপণ করতে হবে নয়তো মৃত্যু।
অনল রায়হান বলেন, “ইন্ডিয়ান আর্মি যখন যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত হলো তখন বোঝা গেল এই যুদ্ধ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষেই আসবে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পরাজিত হতে যাচ্ছে।”
তৎকালীন সময়ে সমরে-যুদ্ধে, রণাঙ্গণে শক্তিশালি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যশোরের মতন সুরক্ষিত ঘাঁটির পতনে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি করেছিল। এদিন পতন ঘটে সিলেট ক্যান্টনমেন্টেরও। শক্রমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা, শেরপুরসহ অন্তত ১০টি জেলা।
এদিকে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে ভারত-পাকিস্তানের সেনা সীমান্ত থেকে প্রত্যাহারের প্রস্তাবে তৃতীয়বারের মতো ভেটো দেয় রাশিয়া।
এএইচ