আজ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস, সবুজায়নের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের
প্রকাশিত : ১০:৩৭, ২৩ মার্চ ২০২৪
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ। আবহাওয়া ও জলবায়ুর গুরুত্ব তুলে ধরতে বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য-‘এট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’।
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, মাত্রাতিরিক্ত কার্বণ নিঃসরণ আর অপরিকল্পিত নগরায়নে বৈরী হয়ে উঠছে আবহাওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়ার এই বিরূপ পরিবর্তনে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্নিঝড়ের সংখ্যা কমলেও তীব্রতা বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সবার কার্যকর ভূমিকায় গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
আবহাওয়া বিভাগের গবেষণা বলছে ১৮৯১ থেকে ২০২৪ সাল পযর্ন্ত ১৩৩ বছরে পর্যাক্রমে কমছে সাগরে ঘুর্ণিঝড়ের সংখ্যা। ৭০ দশকে বঙ্গোপসাগরে বছরে ৬ থেকে ৭টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতো। তার আগে এর সংখ্যা ছিল আরও বেশি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের হার কমলেও বেড়েছে তীব্রতা।
শুধু বঙ্গোপসাগর নয়, ভারত মহাসাগর, আরব সাগর, আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের পরিস্থিতিও দিন দিন বৈরী হচ্ছে। আর এর কারণ জলবাযুর দ্রুত পরিবর্তন।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, এল নিনোর প্রভাবসহ আবহাওয়ার বৈরী আচরণের জন্য যতটা দায়ী প্রকৃতি দায়ী তারচেয়েও বেশি দায়ী মানবসৃষ্ট কারণ। উন্নত বিশ্বে শিল্পায়নের ফলে অতিরিক্ত কার্বণ নিঃসরণ, বনাঞ্চল উজাড়, অপরিকল্পিত নগরায়নের বলি হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো।
নাতিশীতোষ্ণ এলাকা হলেও ভৌগলিক কারণ ও উষ্ণতা বৃদ্ধির জেড়ে বৈরী আবহাওয়ার কবলে বাংলাদেশ। তাই বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের আহবান জলবায়ুর পরিবর্তনকেই দিতে হবে অগ্রাধিকার।
তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে সঠিক সময় নির্ভূল আগাম পূর্বাভাষ ও প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থার ফলে তীব্র প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সেই সাথে যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, নগরায়ণ ও কৃষিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে অপরিকল্পিত নগরায়ন রোধ করে সবুজায়নের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
এএইচ