ঢাকা, রবিবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

৭ই মার্চের ভাষণের পর গোপালগঞ্জে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৮, ১৪ মার্চ ২০১৮

বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পর গোপালগঞ্জে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। দেশকে শক্রমুক্ত করতে গোপালগঞ্জের মুক্তিকামী মানুষ প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে। মুক্তিযেদ্ধাদের কাছে যুদ্ধ দিনের সেসব স্মৃতি এখনো অমলিন।

৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষনের পর যার যা কিছু আছে তা নিয়ে শত্র“র মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নেয় গোপালগঞ্জবাসী।

তৎকালিন মহকুমার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুল মজিদের সহযোগিতায় ২৭ মার্চ ট্রেজারি থেকে অস্ত্রসংগ্রহ করা হয়। ওইদিনই স্থানীয় একটি মাঠে শুরু হয় প্রশিক্ষণ। রাজাকারদের সহযোগীতায় হানাদার বাহিনী ৩০ এপ্রিল গোপালগঞ্জ শহরে অবস্থান নেয়। প্রথমেই ব্যাংকপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পুড়িয়ে দেয় তারা। এরপর হিন্দু অধ্যষিত স্বর্ণপট্টি, সাহাপাড়া, সিকদারপাড়া, চৌরঙ্গী এবং বাজার রোডে লুটপাট ও আগুন দেয়া হয়। হানাদাররা শুরু করে গণহত্যা।

স্থানীয় পদ্ম পুকুর পরিণত হয় গণ-কবরে।

গোপালগঞ্জে ৮হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে গড়ে ওঠে হেমায়েত বাহিনী। কোটালীপাড়ায় ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে ৭২টি গ্রুপ ঝাপিয়ে পড়ে হানাদারদের ওপর। হরিনাহাটি, মাটিভাঙ্গা, বাশবাড়িয়া, ঝনঝনিয়া, শহরের কান্দিসহ বেশ কয়েটি স্থানে হানাদারদের সাথে হয় সম্মুখযুদ্ধে।

৬ ডিসেম্বর মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ। ৭ ডিসেম্বর ভোরে গোপালগঞ্জের আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি