বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে যোগ দেয় ভারতীয় বাহিনী
প্রকাশিত : ১১:০৭, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৩০, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
আজ ৩ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালীর মুক্তি সংগ্রামে যোগ হয় নতুন মাত্রা। পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিলিত হয় ভারতীয় মিত্র বাহিনী। কোনঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানী বাহিনী।
অন্যদিকে জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠায় পাকিস্তান সরকার। আরো জানাচ্ছেন আকবর হোসেন সুমন।
বাংলার পথে- প্রান্তরে তখন চূড়ান্ত প্রতিরোধ যুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রানপণ শপথ- হয় মৃত্যু, না হয় মুক্তি। এমন পণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একের পর এক আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তানী বাহিনী।
নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল আর চট্টগ্রামের ফুয়েল পাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলার বিমান বাহিনীর সফল হামলায়। বিচ্ছিন্ন পথ প্রান্তরে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তানী বাহিনী।
মুক্তিবাহিনীর কুমিল্লা ইউনিটের মেজর আইনউদ্দিনের নেতৃত্বে হামলা চলে পাকিস্তানী সৈন্যদের ওপর। এ’দিন মুক্ত হয় মিয়া বাজার।
পরাজিত শত্রুরা শেষ সময়ে বাঙালীদের ওপর বাড়িয়ে দেয় নির্যাতনের মাত্রা। সিলেটের ভানুগাছায় নিহত হন ১৭ মুক্তিযোদ্ধা। ভারতেও বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান।
এমনই বিপর্যস্ত অবস্থায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আদায়ের পাঁয়তারা করে পাকিস্তান সরকার।
তবে তৎকালীন পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন জানায়, নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দেয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধকে পাক-ভারতের যুদ্ধ বলে চালিয়ে দিয়ে সুবিধা আদায়ের ষড়যন্ত্রের কথাও ভাবে পাকিস্তান।
তবে সময়ের সাথে সাথে এগিয়ে চলে বাঙালীর বিজয় রথ। এই দিনে মুক্ত হয় বরগুনা।
ভিডিও: https://youtu.be/1t9lpGCMCS8