বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
প্রকাশিত : ১৮:৩৭, ১৮ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৬:০০, ১৯ মার্চ ২০১৯
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’। এই উপলক্ষে (১৭ মার্চ) রোববার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর ৩২ তোপখানা রোডের চট্টগ্রাম ভবনে শিশু কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
এতে প্রায় দুই শতাধিক প্রতিযোগী ও তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে পুরো ভবন মুখরিত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠান হল সাজানো হয়েছে রঙ-বেরঙয়ের বেলুন দিয়ে। ছবি এঁকে শিশুরা পেয়েছে পুরস্কার। অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগিকেই দেওয়া হয়েছে বিশেষ পুরস্কার, নানান উপহার এবং বেঙ্গল বিস্কুটের সৌজন্যে বেঙ্গল বিস্কুট।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মোবারকের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক্ আলভী এবং প্রধান বিচারক হিসেবে চট্টগ্রাম চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যক্ষ ও টইটম্বুরের উপদেষ্টা শিল্পী সবিহ্-উল আলম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমিতির মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার সদস্য-সচিব এডভোকেট আনিচ উল মাওয়া (আরজু) এবং জীবন সদস্য ও বিশিষ্ট আর্টিস্ট কল্লোল বড়ুয়া।
প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট প্রদান ও প্রধান বিচারককে ফুল দিয়ে বরণ করেন সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মোবারক এবং অন্যান্য বিচারকবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আহবায়ক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মাবুদ।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মাবুদ বলেন, ‘জাতীয় শিশু দিবসে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সকল শিশু-কিশোরদের উন্মুক্ত ও তাদের মেধা বিকাশের একটি প্লাটফরম। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনের কেক কাটা হয় এবং আজকে যাদের জন্মদিন তাদেরও জন্মদিনের উৎসব পালন করা হয়। আজকে যাঁরা এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আয়োজনকে সুন্দর ও সার্থক করে তুলেছে এবং যাঁরা এর আয়োজনে সহযোগিতা করেছেন তাঁদের, অভিভাবক ও জীবন সদস্যসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।’
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি মহান আদর্শের নাম। তাঁর জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। তাঁর জন্মদিনে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে গর্ববোধ করি।
প্রধান বিচারক বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সবিহ্ উল আলম বলেন- ‘শিশুরা হচ্ছে ফুলের মত, ছবি আঁকার মাধ্যমে শিশুরা তাদের মনের বিকাশ ও সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তোলে। তিনি উপমা দেন যে, কোনো বস্তু প্রারম্ভিক সময়ে আঘাত পেলে পরবর্তী সময়ে তা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে এক জায়গায় স্থির হয়,অকেজো হয়ে যায়; তেমনি শিশুর মনকে যদি আঘাত করা হয় বা বিকশিত হতে না দেয়া হয় তাহলে একটা সময় পর তার আর কিছুই হবে না। আমি মনে করি, চিত্রাঙ্কনই শিশুকে বিকশিত ও সৃজনশীল করে তুলবে।’
প্রধান অতিথি শিল্পী আবুল বারক্ আলভী তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন,‘প্রিয় শিশু-কিশোর সোনামণিারা, আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তোমরা তাঁর মতো বড় হও।`
সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মোবারক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় উপস্থিত শিশু-কিশোর ও অভিাভবকদের উদ্দেশে বলেন, ‘চিত্রাঙ্কন এমন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য যার মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর বুকে অমরত্ব লাভ করতে পারবেন। এই পৃথিবীতে এমন কিছু কিছু লোক আছে যাঁরা শ্রেষ্ঠত্ব ও অমরত্ব লাভ করেছেন। যেমন- লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিখ্যাত চিত্রকর। তেমনি কণ্ঠশিল্পী হয়েও পৃথিবীতে অমর যায়। তাই চিত্রাঙ্কন কোনো ফালতু জিনিস নয়। এটিও বড় হওয়ার একটি সোপান।” তিনি আজকের অনুষ্ঠানে কষ্ট স্বীকার করে আসার জন্য সকলে প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি আবু আলম চৌধুরী, রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক, মো. আবদুল করিম, উপদেষ্টা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ড. দীপক কান্তি চৌধুরী, হাসপাতাল কমিটির সদস্য-সচিব মো. মহিউল ইসলাম মহিম, নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি জয়নুল আবেদিন জামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. সাইফুদ্দিন আহমদ (বাবুল), শফিকুর রহমান শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম. ওয়াহিদ উল্লাহ, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশীদ রাসেল, নির্বাহী সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (হিরো), মোহাম্মদ মনসুর আলী চৌধুরী, মো. কামাল হোসেন তালুকদার, আহমদ মমতাজ, মোস্তফা ইকবাল চৌধুরী (মুকুল), মো. গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ সমিতির উল্লেখযোগ্য জীবন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
কেআই/