ঢাকা, সোমবার   ৩১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আজ একুশে টেলিভিশনের জন্মদিন

প্রকাশিত : ১১:০৬, ১৪ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৭:০৫, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

নানান চড়াই উৎরাই কাটিয়ে উনিশ ছাড়িয়ে বিশে যাত্রা শুরু করলো একুশে টেলিভিশন। শুদ্ধচিন্তা, মুক্তবুদ্ধি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে চলা একুশের মধ্য দিয়ে নবজাগৃতি ঘটেছে বাঙালি সংস্কৃতির।

২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল। বাঙালিপ্রাণে ছিল পহেলা বৈশাখের বর্ণিল আমেজ। আর তখনই নতুন শতকের সম্ভাবনার বহুমাত্রিক সূর বেজে ওঠে শুদ্ধ মানুষের বিশুদ্ধ বিবেকে।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশের পাল তুলে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। আর সেই সঙ্গে খুলে যায় রুদ্ধ দুয়ার। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে যোগ হয় ভিন্ন মাত্রা, বহুমাত্রিক বিনোদনে প্রধান হয়ে ওঠে হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি।

রুচিশীল বিনোদন, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে প্রগতির চেতনা, যুদ্ধাপরাধি-জঙ্গীদের প্রতিহত করতে বহুমাত্রিক অনুষ্ঠান আর সংবাদে আপোষহীনতা নিয়ে স্বপ্নের যাত্রাপথে এগিয়ে চলে একুশে টেলিভিশন। ক্রমশ এটি পরিণত হয় গণমানুষের প্ল্যাটফরমে।

বিএনপি-জামায়াতের কূটকৌশলে ২০০২ সালের ২৯ শে আগস্ট বন্ধ হয়ে যায় কোটি মানুষের ভালোবাসার একুশে। ২০০৬ সালের ১লা ডিসেম্বর আদালতের রায়ের পর ২০০৭ সালে নতুন শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আবারও সম্প্রচারে আসে একুশে টেলিভিশন। সেই থেকে অদ্যবধি দুবৃত্তদের ষড়যন্ত্র আর নানান ঘাত-প্রতিঘাত ডিঙিয়ে এগিয়ে চলেছে গণমানুষের একুশে।

একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশে মানে মুক্তচিন্তার খোলা জানালা। উনিশ পেরিয়ে বিশে পদার্পণে এই আমাদের ব্রত ও বাসনা।

এদিকে, জন্মদিন উপলক্ষে গত রাত ১২টা এক মিনিটে একুশে টেলিভিশনের কার্যালয়ে কেক কাটা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত থেকে জন্মদিনের কেক কাটেন।

এ সময় একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল একেএম মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.), একুশে টেলিভিশনের পরিচালক কে এম শহিদুল্লাহ, পরিচালক সাকিব আজিজ চৌধুরী,কোম্পানি সেক্রেটারি আতিকুর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিন হেলালি, কবি আসাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট নাট্য নির্মাতা মুস্তাফা সরওয়ার ফারুকী, সঙ্গীত শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি, একুশের অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোহছেনা রহমান, ভারপ্রাপ্ত সিএনই রঞ্জন সেন, মার্কেটিং বিভাগের প্রধান সিরাজুম মুনিরা ডালিয়া, প্ল্যানিং এডিটর দেবাশীষ রায়, ডিসিএফও সাত্বিক আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি ড. অখিল পোদ্দার, প্রশাসন ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) নাসিম হোসেন, সম্প্রচার বিভাগের ডিজিএম সুজন দেবনাথসহ একুশে পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম একুশে টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়ার মাধ্যমে দেশে অবাধ তথ্য প্রবাহের দ্বার উন্মোচন করেন। যার ধারাবাহিকতায় দেশে এখন ৩৩টি চ্যানেল অনইয়ারে।

একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল একেএম মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.) বলেন, একুশে টেলিভিশনে গ্রামগঞ্জের মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশা যেন ফুটে ওঠে। আমরা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করতে চাই। মানুষের অধিকারের সঙ্গে থাকতে চাই। মানুষের জীবনের কথা নিয়ে অনুষ্ঠান তৈরিতে প্রথম পথিকৃৎ কিন্তু একুশে টেলিভিশন।

শুরুর লগ্নেই একুশে সৃষ্টি করেছিল ইতিহাস। তবে, চলার পথ মসৃন হয়নি। সব সংকট পায়ে দলে একুশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বারবার। ২০ বছরে পা রাখার এই দিনে একুশেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ বিশিষ্টজনেরা।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি